চিঠি


DESTINY IS NEVERLAND AND NEVERLAND IS DESTINY.
PEN- PROLAY.
INK-ANANYA. 
                         






                                                                             চিঠি 
                                                                             

এ শুধু মাত্র কোন  এক চিঠি নয়- এ সেই অনন্তকালের স্পর্ধার স্পর্শ , যা ছুঁয়ে গেছে জগতের প্রেমকে - প্রেমিক আর প্রেমিকাকে দিয়ে গেছে যুগান্তরের বন্ধন - যাকে ছেঁড়া যায়না , ভাঙা যায়না , ফেলে দেওয়া যায়না - কাগজ আর কালির প্রেমের স্মারক হয়ে বেঁধে দিয়ে যায় দুই আলাদা শরীর আর মনের আলাদা মানুষকে - এ হলো সেই গ্রন্থি ।
এ চিঠির শুরু আছে - শুধু শেষ থাকতে নেই ।
 শরতের রোদ ঝলমলে দুপুরে , যখন পাগল হাওয়া বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা যুবতী প্রেমিকার চুল উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে দিতে চায় প্রেমিকের মুখের উপর , প্রেমিকার বুক যখন কেঁপে কেঁপে ওঠে প্রেমিকের সাথে গোপন  মিলনের আশায় , আর তখনি  জগতের সকল বাঁধা যখন তার চোখের জল হয়ে ঝরে পরে ,  বাঁধা ভাঙা  প্রেমিকের প্রেম যখন তার হাতের শিরাগুলোকে শক্ত করে তোলে , কন্ঠস্বর যখন শিখরে ওঠে , শেষবারের আগেরবারের মতো প্রেম যখন হয়ে ওঠে জেগে ওঠা ভিসুভিয়াস - তখন ভালোবাসার আকাংখ্যা , অভ্যাস আর অসীমতার ছবি আঁকা এক টুকরো কাগজ এসে পড়ে , পাগলি অনন্যার হাতের কাছে - তাতে লেখা --------

অনন্যা ,
           চিঠির প্রথমেই আর দশজনের মত আমি তোমাকে বললাম না  যে আমার মনের সবটুকু ভালোবাসাই  কেবল তুমি নিও । কারন তুমি  নিজেই ভালোভাবেই জানো যে , "  নিয়ম করে  অনিয়ম করাটাই আমার নিয়ম  "  , আর আমার  মনের ভিতর ভালোবাসা ? সে  কি আর বিন্দুমাত্রও  আছে আমার মধ্যে  ? অন্য কেউ হলে বলতাম ব্যাপারটা  চুরি-   কিন্তু তুমি তো  অন্য কেউ নয় - তুমি অনন্যা -  তাই তুমি  করেছো রীতিমত ডাকাতি আর তাও বলে কয়ে , একদম দিনে দুপুরে ।
    তাই ভালোবাসা জানানোর পথই তো  নেই - শুধু ভালোবাসাই বা  কেন ? আমাদের সেই অর্থে কোন পথ ই নেই । লোকে যাকে পথ বলে জানে , সে আমাদের নয়। সে পথে পাওয়ার  চিন্তা নেই ,  হারানোর ভয় নেই ,  মিলনের আনন্দ নেই । সে পথ বড়ো বাঁধা পথ । যে পথে চলতে গেলে ,ঘোড়া হয়ে অন্যকে টেনে নিয়ে বেড়াতে হয় ,  যে পথে খেয়ালি পথিক হওয়া যায়না , যে পথে দায়িত্ব আর সামাজিকতায় আটকে পড়তে হয় , যে পথে বাঁক নেই , বাঁকের মুখে আঘাতের ভয় নেই ,  সেই পথ আমার আর তোমার নয় ।
 আমাদের পথ অজানা অচেনা গলি পথ , খানা খন্দে ভরা ,  অন্ধকারের পথ । আমাদের পথ আমাদেরই । যুবতী নদীর পাড়   , মেঠো  জঙ্গলের ধার   -   এদেরকে  আমরা নিজেরাই  নিজেদের মতো পথ  করে  নিয়েছি - তাই হতে পারে , যা  অপরের কাছে কেবলমাত্র ভ্রম , আমাদের কাছে তাই হয়ে উঠেছে পরম । কারন এই পথের  শুরু নেই , শেষ নেই -  আছে  চলার বাসনা , আছে বয়ে চলার দায়  আর আছে অনেক , " নেই " এর তালিকা । এখানে মাঝে মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তুমি আর আমি  বা আমাদের কিছু টুকরো । 
 তুমি  জানো  যে আমার  সেই পথ বা প্রান্তর যাই হোক , তার যে কেবল একটাই নাম - সেই  সে এক  তুমি - আমার গভীরের সেই সে এক অনন্যা । 
আসলে যে কারনে তোমাকে এই চিঠিখানা লেখা , সেটা হলো , আমি  তোমাকে না জানিয়েই  আবারো একটা  অকাজ করেছি  ,  মানে বাধ্যই হয়েছি - বলতে  পারো । জানানোর সুযোগ  নিশ্চয়ই ছিলো , তবুও জানাইনি কারন  কাজটি জানলে তুমি আমাকে আর নিশ্চিত এগোতেই দিতেনা - উল্টে এমনভাবে সব মাটি করে দিতে তাতে দুজনের কেউই লাভ বা লোকসান - কোনোটারই মুখ দেখতাম না ।

এতদিনে তুমি এটুকু তো জানোই যে আমার চাহিদা ঠিক কতোটা কম আর কেনো কম ? কিন্তু  চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে যোগানও যায় কমে , তবে সেই সুযোগে আরেকজন জায়গা করে নেই । লোকে তাকে বলে দেনা ।  লোকের বানানো সমাজে আমি যেমন  সামান্য তেমনি সমাজে  আমার   দেনাও  অতি সামান্য ।  আমাদের গলিতে আসতেই যে দোকানটা আছে সেখানে মানে পান মশলা ,বিড়ি , সিগারেটের দোকানের ওই যে কালো , রোগা আর কিছুটা হ্যাংলা মতন ছেলেটা মানে তোমার " বাঁদর " , আর তুমি যার " বৌদি "- সে হতভাগা আমার কাছে  কিছু টাকা পায় । আয়তন বেশি নয় , তবু তো দেনা । সেই টাকাটা তুমি আপাতত  ওকে যে ভাবেই হোক দিও, নিতে না চাইলে দরকারে থাপ্পড় মেরে তুমি ওর পকেটে দিয়ে দিও। ও তোমায় না করতে পারবে না  - সে আমি জানি ।
 এটাকে যদিও সঠিক প্রেমিকের দাবি বলা যায়না ।
 তবুও - প্রেম, প্রেমিক আর প্রেমিকা - এসব আর কবেই বা কোথায় সব নিয়ম মেনে সঠিকভাবে হয়েছে ?
তোমাকে টাকাটা দিতে বলছি তার মুল কারন হলো তোমায় না জানিয়েই গতকাল আমি ঘর ছেড়েছি - সোজা কথায় ঠিকানা বদলেছি হাতে সামান্য যা টাকা ছিলো তাই নিয়েই - তুমি জানোই যে আমার জীবনে পুরানো বলতে শুধুই তুমি - তো  দেখলাম তোমাকে নিয়ে  এখানে থাকা চলবে না আর অন্যদিকে নতুনের প্রতি আমার আদিম একটা নেশা - তাই ভাবলাম আপাতত ঠিকানাটা একটু বদলানোই যাক - তাই চলেছি নতুন কোথাও যেখান থেকে কিনা তোমার সাথে যোগাযোগ ও থাকবে আবার একটু অভিজ্ঞতাও হবে  নতুন করে আবার একবার ঘর বাঁধার ।

 তুমি বলো , যে তুমি জানলে কি আসতে দিতে আমায় ?
কতোবার তো বলেছি তোমায় , যে আমায় না হয় রাখো তোমার পায়ের নূপুর করে - অবিরাম  তোমার সাথে ছন্দ মিলিয়েই চলতাম  ।  অথবা কানের দুল -  তাতেও তো তোমার খোলা চুল দিয়ে আমায়  জড়িয়ে থাকতে পারতে  , - সুবিধা এই যে ,যখন তখন দুজনের হাতাহাতি হতেই পারতো । কিন্তু সেসব না করে তুমি আমায় কিনা রাখলে সেই দামী গয়নার বাক্সে - একদম আড়ালে -আবডালে - একটু বেশি যত্নে ।
তাই আর বেশি ভাবনা চিন্তা না করে বেশ তাড়াহুড়ো করেই চলা শুরু । খুব দুরেও নয় আবার একদম কাছেও নয় । আপাতত স্থায়ী কোন ঠিকানাই নয় - জায়গা পছন্দ হওয়ার ব্যাপার আছে  - তাকে আমাদের মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে  আর তারপর  সবশেষে  আছে  তোমার পছন্দ ।  সেটা না মিললে তো সবই  ফালতু ।
 মানে এক জটিল সিড়িভাঙ্গা অংকের গোঁড়ায় গলদ  ।

অনেক কিছু ভেবে  মনে হলো খুব ঝকমকে বা  সাজানো গোছান নাগরিক জীবন  আর ভালো লাগছে না ।  টাকায় ধনী  উদার  অথচ  ভিতরে আপাদমস্তক  হতাশ অথবা  মুখোশের আড়ালে যে ভদ্র  প্রতিবেশী সময় পেলে তোমাকে বা আমাকে নিয়ে গবেষণা করতে পারে , তাদেরকে আর আমাদের জীবনে  প্রয়োজন নেই । ওরা বেক্তি নয় - বস্তু  । বস্তুভোগ অনেক করেছি - এখন ঘেন্না এসে গেছে । 
  আমাদের এখন চাই অনেকটা শান্তি , নির্জনতা আর অনেক অনেক অবসর - ভালোবাসার সময় আমাদের চাই , চাই , চাই ।
তোমাকে এতদিনে যেটুকু চিনেছি অথবা নিজেকে মনে হয় যতোটা বুঝেছি -  তাতে করে  আমাদের চাই এমন কোন একটা জায়গা , যা  অনেকেই আবার চায়না - তুমি চাও , আমি চাই - কারন আমাদের চাই অনেক অনেক স্তব্ধতা - নিজেদের একাকিত্মের কথা বলার জন্য , শোনার জন্য - একাত্ম হওয়ার জন্য ।
 বিশাল এক বাংলো না হোক সামান্য একটা খোলা বারান্দা ঘরের  সামনে তোমার  চাই । যেখানে গরমের সন্ধ্যায় তুমি খোলা চুলে দেওয়ালে ঠেশ দিয়ে বসলেই , আমি  নিশ্চিন্তে তোমার কোলে মাথা রেখে শুতে পারবো । আর  ঘরের কাছে একটা বয়ে চলা  নদী থাকলে ভালোই - গরমের সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ এলে - সেই নদীতে  ডুব সাঁতার দিয়ে একে অপরকে দেখতে পারবো - দম বন্ধ না হয়ে আসার সময় পর্যন্ত  ।

লেখাপড়া নেই , পরনে ভালো কাপড় নেই , এমনকি না খেয়ে থাকলেই যে কারো কাছে যে খাবার চাইতে নেই - এমন সব হা-ঘরে , হাভাতে আর হতভাগা কিছু বাচ্চাদের দল আশে পাশে থাকুক   -  তাতে  খুব একটা অসুবিধা  নেই -  তবে খুব ভালো হবে  যদি  কিনা  সামনে  সীমানাহীন মাঠ থাকে  -   কোন এক বিরক্তিকর রাতে যদি  নিজেদের আর  একে অপরকে  ভালো না লাগে -  তবে দুজনে মাঠের দুই দিকে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকবো ।




তুমি ভাবতেই পারো যে কিনা প্রকাশ্যে বলতেই পারেনি , " তোমায় ভালোবাসি " বা একমুঠো সিঁদুর কপালে লেপ্টে দিয়ে বলতে পারেনি ," আজ থেকে আমি নয় , আমরা হলাম "- সে কোন সাহসে এতোকিছু ভাবে ?
সেখানে আমারো নিজের কিছু যুক্তি আছে - গাছ থেকে ফল পড়লে , সেই ফলের গায়ে  তো  লেখা থাকেনা যে এটা নিউটনের সূত্র মেনে হলো  ,  অথবা যাত্রা শেষে জাহাজ বন্দরে ফিরে এলে তো কেউ বলেনা যে ," কলম্বাসের সুত্র মেনে তাকে ফিরতেই হতো ।

কোথায় হারিয়ে যায় নিউটনের পাণ্ডিত্য অথবা কলম্বাসের বীরত্ব ? কেউই কিছুই  মনে রাখেনা ,  কিন্তু তবু  তাকে  অস্বীকার করে - তাও হয়না
তোমার সাথে আমার একটা দেওয়া নেওয়া আছে - সেটা হয়তো  কিছুটা তরঙ্গের মতো ।  ওটা কাউকে আলাদা করে   দেখা বা দেখানোর , শোনা বা শোনানোর নয় -  শুধু নিজেরা বুঝলেই হলো -  " রোগীকে  ওষুধ   নিয়ম করে  রোজ  গিলতেই হবে কারন রোগ তার কাছে দায় - তার চাই মুক্তি । " তোমাকে আমি ভালোবাসি " - এ আমার দায় নয় , আমার অভ্যাস - আমি এর থেকে  মুক্তি চাইনা , চাই তোমার বন্ধন  , যা আমাকে নেশার মতো ঘিরে রাখবে ।

   
আর তাই  সিঁদুর দিয়ে তোমার কপাল লাল করে দেওয়া ? সে সব   আমি স্বপ্নেও ভাবিনা - তাতে তোমার কপালের নিজের সৌন্দর্যটাই যে নস্ট হবে - সাদা একটা ক্যানভাসে  কেউ  একটু রঙ লেপে দিলেই সেটা তো আর ছবি হয়না - বরং যেটা হয় , আমার ভাষায় তা হলো ," নষ্ট "।

 শুধু সিঁদুরই বা কেন ? আসলে নিয়মের অনেক কিছু  নিয়েই  আমার কোন মাথাব্যাথাই নেই । সে বস্তু থাক তার মতো তার  নিজের  সমাজের গণ্ডীতে   -   কিন্তু আমার মনের  প্রেমে , আমার  শরীরের কামনায়  -তাকে আমি শুধু মুল্যহীন নয় , মনে করি অবাঞ্ছিত জড়ের কনামাত্র - তাই বলতে পারো  আমার  কাছে বরং পয়সা দিয়ে কেনা  বাজারের পাস্টিকের বাক্সের  লাল সিঁদুরের  থেকে  অনেক অনেক  বেশি ভালোলাগে তোমার ব্লাউজের পিঠের দিকে লেগে থাকা তোমার ঘামের সাদা দাগ । কারন ঐ দাগের মধ্যে কোন না কোন ভাবে তুমি তো  আছোই - আছে তোমারই শরীরের লবন ।

এই ধরনের কথা তুমি তো আর নতুন শুনছো না  ,  তাই  আর নতুন করে চমকে ওঠা বা আলাদা করে  ভালো লেগে  নতুন করে প্রেমে পরার   ব্যাপার নেই  ।
তোমাকে বলার মতো তো কতো কথাই তো  আছে , কিন্তু  আজ এইসময় তার না আছে অবসর , আর না আছে পরিস্থিতি ।
  শুধু এইটুকু বলতে পারি যে , এই ব্যাবধান সামান্য ।  কোনমতে একটা ভালো জায়গা পেলেই , কি করে বেহিসেবীর মতো সব হিসেব বদলে দিতে হয় - সে তুমি আর আমি দুজনেই ভালো জানি।
তখন দেখা যাবে কার জোর বেশী ?   একদিকে আমি দুহাত তুলে প্রানপনে তোমায় ডাকবো , সে ডাক চলে যাবে কোথায় না কোথায় - তার কম্পন ছড়িয়ে পড়বে দিনের শেষে বাসায় ফেরা পাখিদের ডানায়  আর তুমিও সেদিন  শাড়িটা  দুই হাতে ধরে গোড়ালির উপর তুলে ছুটে আসবে  মুক্ত হরিনীর মতোই  - তার গতি বসন্তের রিমঝিম বাতাসের মতো নয়, সুরে মাদকতা থাকবে না ,  - সে হবে দূরন্ত প্রলয়  ঝড়ের মতোই । তাতে ভাঙ্গাচোরা হবে অনেক , রসাতলে যাবে আরো  কিছু  - সেই সে  ঝড়ের শেষে থেকে যাবে তারাই , যারা কাছের মানুষ হয়ে কাছেই থাকতে চায় ।

আপাতত যে কথাটা শুনে তুমি হেসে উঠবে সেটা হলো , আমি  কিন্তু এখনো  এই শহরেই আছি । আজ  বিকেল ৪ টা থেকে ৪ টা ৩০ মিনিট আমার সাথে তোমার দেখা হতেই  পারে। কিন্তু তার জন্য যে  তোমায় আসতে হবে তোমার বান্ধবী প্রীতির বাড়ী ।ওদের বাড়ীর পশ্চিমের যে ঘরটা আছে ,  তুমি তার পশ্চিমের  জানলায় বসবে । দুর থেকে  আমাদের মধ্যে কোন  কথাই  হয়তো হবেনা , কিন্তু একবার দেখা তো হবে । তাতেও চোখের সুখ আর আত্মার শান্তি । তবে ব্যাস্ততার  তেমন  কিছুই নেই। এদেশে কোনকিছুই সময়ে চলেনা , ( ভেবোনা তোমাকেও বলছি  ) - তাই সামান্য দেরী হলেও চলবে ।  তবে মোটামুটি সময় টা ঐ বিকালের দিকে বা সন্ধ্যার আগে - মানে গোধুলি লগ্নের মিলন ।  আর একটা অনুরোধ , পারলে সেই -ই   গোলাপি চুড়িদারটাই পরে এসো। ওটা তো আমাদের দুজনেরই প্রিয় । সময়টা ভুলোনা কিন্তু  ।

প্রীতির বাড়ির  ঐ  ডান দিকের  লাশকাটা ঘর থেকে ঐ সময় আমার বেরোবার কথা -গায়ে লেখা থাকবে     "২৮ নম্বর"  ।

  ইতি
  তোমারই
  CHOCOLATE .
                                                                                         
 THANKS. 
 S.V.O                                                                                                                          

ভালো লাগলে পড়ুন -একটি সন্ধ্যার কথা














Post a Comment

2 Comments

Bhuribhoj # said…
Khub sundar lekha
.....
Watermelon.. Mojito...
Mocktail drink for Scorching 🌞🏖️ summer
Watch my video.. On YouTube by click on the link below
https://youtu.be/VA_NFEn3y5w

If you like my video.. Plss subscribe my channel
Bhuribhoj#
Also like.. Share.. Comment..
Prolaysankardeysvo said…
https://www.facebook.com/102832565293309/posts/146015474308351/?app=fbl