DESTINY IS NEVERLAND AND NEVERLAND IS DESTINY.
PEN- PROLAY.
INK-ANANYA.
এ শুধু মাত্র কোন এক চিঠি নয়- এ সেই অনন্তকালের স্পর্ধার স্পর্শ , যা ছুঁয়ে গেছে জগতের প্রেমকে - প্রেমিক আর প্রেমিকাকে দিয়ে গেছে যুগান্তরের বন্ধন - যাকে ছেঁড়া যায়না , ভাঙা যায়না , ফেলে দেওয়া যায়না - কাগজ আর কালির প্রেমের স্মারক হয়ে বেঁধে দিয়ে যায় দুই আলাদা শরীর আর মনের আলাদা মানুষকে - এ হলো সেই গ্রন্থি ।
এ চিঠির শুরু আছে - শুধু শেষ থাকতে নেই ।
শরতের রোদ ঝলমলে দুপুরে , যখন পাগল হাওয়া বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকা যুবতী প্রেমিকার চুল উড়িয়ে নিয়ে গিয়ে দিতে চায় প্রেমিকের মুখের উপর , প্রেমিকার বুক যখন কেঁপে কেঁপে ওঠে প্রেমিকের সাথে গোপন মিলনের আশায় , আর তখনি জগতের সকল বাঁধা যখন তার চোখের জল হয়ে ঝরে পরে , বাঁধা ভাঙা প্রেমিকের প্রেম যখন তার হাতের শিরাগুলোকে শক্ত করে তোলে , কন্ঠস্বর যখন শিখরে ওঠে , শেষবারের আগেরবারের মতো প্রেম যখন হয়ে ওঠে জেগে ওঠা ভিসুভিয়াস - তখন ভালোবাসার আকাংখ্যা , অভ্যাস আর অসীমতার ছবি আঁকা এক টুকরো কাগজ এসে পড়ে , পাগলি অনন্যার হাতের কাছে - তাতে লেখা --------অনন্যা ,
চিঠির প্রথমেই আর দশজনের মত আমি তোমাকে বললাম না যে আমার মনের সবটুকু ভালোবাসাই কেবল তুমি নিও । কারন তুমি নিজেই ভালোভাবেই জানো যে , " নিয়ম করে অনিয়ম করাটাই আমার নিয়ম " , আর আমার মনের ভিতর ভালোবাসা ? সে কি আর বিন্দুমাত্রও আছে আমার মধ্যে ? অন্য কেউ হলে বলতাম ব্যাপারটা চুরি- কিন্তু তুমি তো অন্য কেউ নয় - তুমি অনন্যা - তাই তুমি করেছো রীতিমত ডাকাতি আর তাও বলে কয়ে , একদম দিনে দুপুরে ।
তাই ভালোবাসা জানানোর পথই তো নেই - শুধু ভালোবাসাই বা কেন ? আমাদের সেই অর্থে কোন পথ ই নেই । লোকে যাকে পথ বলে জানে , সে আমাদের নয়। সে পথে পাওয়ার চিন্তা নেই , হারানোর ভয় নেই , মিলনের আনন্দ নেই । সে পথ বড়ো বাঁধা পথ । যে পথে চলতে গেলে ,ঘোড়া হয়ে অন্যকে টেনে নিয়ে বেড়াতে হয় , যে পথে খেয়ালি পথিক হওয়া যায়না , যে পথে দায়িত্ব আর সামাজিকতায় আটকে পড়তে হয় , যে পথে বাঁক নেই , বাঁকের মুখে আঘাতের ভয় নেই , সেই পথ আমার আর তোমার নয় ।
আমাদের পথ অজানা অচেনা গলি পথ , খানা খন্দে ভরা , অন্ধকারের পথ । আমাদের পথ আমাদেরই । যুবতী নদীর পাড় , মেঠো জঙ্গলের ধার - এদেরকে আমরা নিজেরাই নিজেদের মতো পথ করে নিয়েছি - তাই হতে পারে , যা অপরের কাছে কেবলমাত্র ভ্রম , আমাদের কাছে তাই হয়ে উঠেছে পরম । কারন এই পথের শুরু নেই , শেষ নেই - আছে চলার বাসনা , আছে বয়ে চলার দায় আর আছে অনেক , " নেই " এর তালিকা । এখানে মাঝে মাঝে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে তুমি আর আমি বা আমাদের কিছু টুকরো ।
তুমি জানো যে আমার সেই পথ বা প্রান্তর যাই হোক , তার যে কেবল একটাই নাম - সেই সে এক তুমি - আমার গভীরের সেই সে এক অনন্যা ।
আসলে যে কারনে তোমাকে এই চিঠিখানা লেখা , সেটা হলো , আমি তোমাকে না জানিয়েই আবারো একটা অকাজ করেছি , মানে বাধ্যই হয়েছি - বলতে পারো । জানানোর সুযোগ নিশ্চয়ই ছিলো , তবুও জানাইনি কারন কাজটি জানলে তুমি আমাকে আর নিশ্চিত এগোতেই দিতেনা - উল্টে এমনভাবে সব মাটি করে দিতে তাতে দুজনের কেউই লাভ বা লোকসান - কোনোটারই মুখ দেখতাম না ।
এতদিনে তুমি এটুকু তো জানোই যে আমার চাহিদা ঠিক কতোটা কম আর কেনো কম ? কিন্তু চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে যোগানও যায় কমে , তবে সেই সুযোগে আরেকজন জায়গা করে নেই । লোকে তাকে বলে দেনা । লোকের বানানো সমাজে আমি যেমন সামান্য তেমনি সমাজে আমার দেনাও অতি সামান্য । আমাদের গলিতে আসতেই যে দোকানটা আছে সেখানে মানে পান মশলা ,বিড়ি , সিগারেটের দোকানের ওই যে কালো , রোগা আর কিছুটা হ্যাংলা মতন ছেলেটা মানে তোমার " বাঁদর " , আর তুমি যার " বৌদি "- সে হতভাগা আমার কাছে কিছু টাকা পায় । আয়তন বেশি নয় , তবু তো দেনা । সেই টাকাটা তুমি আপাতত ওকে যে ভাবেই হোক দিও, নিতে না চাইলে দরকারে থাপ্পড় মেরে তুমি ওর পকেটে দিয়ে দিও। ও তোমায় না করতে পারবে না - সে আমি জানি ।
এটাকে যদিও সঠিক প্রেমিকের দাবি বলা যায়না ।
তবুও - প্রেম, প্রেমিক আর প্রেমিকা - এসব আর কবেই বা কোথায় সব নিয়ম মেনে সঠিকভাবে হয়েছে ?
তোমাকে টাকাটা দিতে বলছি তার মুল কারন হলো তোমায় না জানিয়েই গতকাল আমি ঘর ছেড়েছি - সোজা কথায় ঠিকানা বদলেছি হাতে সামান্য যা টাকা ছিলো তাই নিয়েই - তুমি জানোই যে আমার জীবনে পুরানো বলতে শুধুই তুমি - তো দেখলাম তোমাকে নিয়ে এখানে থাকা চলবে না আর অন্যদিকে নতুনের প্রতি আমার আদিম একটা নেশা - তাই ভাবলাম আপাতত ঠিকানাটা একটু বদলানোই যাক - তাই চলেছি নতুন কোথাও যেখান থেকে কিনা তোমার সাথে যোগাযোগ ও থাকবে আবার একটু অভিজ্ঞতাও হবে নতুন করে আবার একবার ঘর বাঁধার ।
তুমি বলো , যে তুমি জানলে কি আসতে দিতে আমায় ?
কতোবার তো বলেছি তোমায় , যে আমায় না হয় রাখো তোমার পায়ের নূপুর করে - অবিরাম তোমার সাথে ছন্দ মিলিয়েই চলতাম । অথবা কানের দুল - তাতেও তো তোমার খোলা চুল দিয়ে আমায় জড়িয়ে থাকতে পারতে , - সুবিধা এই যে ,যখন তখন দুজনের হাতাহাতি হতেই পারতো । কিন্তু সেসব না করে তুমি আমায় কিনা রাখলে সেই দামী গয়নার বাক্সে - একদম আড়ালে -আবডালে - একটু বেশি যত্নে ।
তাই আর বেশি ভাবনা চিন্তা না করে বেশ তাড়াহুড়ো করেই চলা শুরু । খুব দুরেও নয় আবার একদম কাছেও নয় । আপাতত স্থায়ী কোন ঠিকানাই নয় - জায়গা পছন্দ হওয়ার ব্যাপার আছে - তাকে আমাদের মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে আর তারপর সবশেষে আছে তোমার পছন্দ । সেটা না মিললে তো সবই ফালতু ।
মানে এক জটিল সিড়িভাঙ্গা অংকের গোঁড়ায় গলদ ।
অনেক কিছু ভেবে মনে হলো খুব ঝকমকে বা সাজানো গোছান নাগরিক জীবন আর ভালো লাগছে না । টাকায় ধনী উদার অথচ ভিতরে আপাদমস্তক হতাশ অথবা মুখোশের আড়ালে যে ভদ্র প্রতিবেশী সময় পেলে তোমাকে বা আমাকে নিয়ে গবেষণা করতে পারে , তাদেরকে আর আমাদের জীবনে প্রয়োজন নেই । ওরা বেক্তি নয় - বস্তু । বস্তুভোগ অনেক করেছি - এখন ঘেন্না এসে গেছে ।
আমাদের এখন চাই অনেকটা শান্তি , নির্জনতা আর অনেক অনেক অবসর - ভালোবাসার সময় আমাদের চাই , চাই , চাই ।
তোমাকে এতদিনে যেটুকু চিনেছি অথবা নিজেকে মনে হয় যতোটা বুঝেছি - তাতে করে আমাদের চাই এমন কোন একটা জায়গা , যা অনেকেই আবার চায়না - তুমি চাও , আমি চাই - কারন আমাদের চাই অনেক অনেক স্তব্ধতা - নিজেদের একাকিত্মের কথা বলার জন্য , শোনার জন্য - একাত্ম হওয়ার জন্য ।
বিশাল এক বাংলো না হোক সামান্য একটা খোলা বারান্দা ঘরের সামনে তোমার চাই । যেখানে গরমের সন্ধ্যায় তুমি খোলা চুলে দেওয়ালে ঠেশ দিয়ে বসলেই , আমি নিশ্চিন্তে তোমার কোলে মাথা রেখে শুতে পারবো । আর ঘরের কাছে একটা বয়ে চলা নদী থাকলে ভালোই - গরমের সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ এলে - সেই নদীতে ডুব সাঁতার দিয়ে একে অপরকে দেখতে পারবো - দম বন্ধ না হয়ে আসার সময় পর্যন্ত ।
লেখাপড়া নেই , পরনে ভালো কাপড় নেই , এমনকি না খেয়ে থাকলেই যে কারো কাছে যে খাবার চাইতে নেই - এমন সব হা-ঘরে , হাভাতে আর হতভাগা কিছু বাচ্চাদের দল আশে পাশে থাকুক - তাতে খুব একটা অসুবিধা নেই - তবে খুব ভালো হবে যদি কিনা সামনে সীমানাহীন মাঠ থাকে - কোন এক বিরক্তিকর রাতে যদি নিজেদের আর একে অপরকে ভালো না লাগে - তবে দুজনে মাঠের দুই দিকে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকবো ।
আসলে যে কারনে তোমাকে এই চিঠিখানা লেখা , সেটা হলো , আমি তোমাকে না জানিয়েই আবারো একটা অকাজ করেছি , মানে বাধ্যই হয়েছি - বলতে পারো । জানানোর সুযোগ নিশ্চয়ই ছিলো , তবুও জানাইনি কারন কাজটি জানলে তুমি আমাকে আর নিশ্চিত এগোতেই দিতেনা - উল্টে এমনভাবে সব মাটি করে দিতে তাতে দুজনের কেউই লাভ বা লোকসান - কোনোটারই মুখ দেখতাম না ।
এতদিনে তুমি এটুকু তো জানোই যে আমার চাহিদা ঠিক কতোটা কম আর কেনো কম ? কিন্তু চাহিদার সাথে পাল্লা দিয়ে যোগানও যায় কমে , তবে সেই সুযোগে আরেকজন জায়গা করে নেই । লোকে তাকে বলে দেনা । লোকের বানানো সমাজে আমি যেমন সামান্য তেমনি সমাজে আমার দেনাও অতি সামান্য । আমাদের গলিতে আসতেই যে দোকানটা আছে সেখানে মানে পান মশলা ,বিড়ি , সিগারেটের দোকানের ওই যে কালো , রোগা আর কিছুটা হ্যাংলা মতন ছেলেটা মানে তোমার " বাঁদর " , আর তুমি যার " বৌদি "- সে হতভাগা আমার কাছে কিছু টাকা পায় । আয়তন বেশি নয় , তবু তো দেনা । সেই টাকাটা তুমি আপাতত ওকে যে ভাবেই হোক দিও, নিতে না চাইলে দরকারে থাপ্পড় মেরে তুমি ওর পকেটে দিয়ে দিও। ও তোমায় না করতে পারবে না - সে আমি জানি ।
এটাকে যদিও সঠিক প্রেমিকের দাবি বলা যায়না ।
তবুও - প্রেম, প্রেমিক আর প্রেমিকা - এসব আর কবেই বা কোথায় সব নিয়ম মেনে সঠিকভাবে হয়েছে ?
তোমাকে টাকাটা দিতে বলছি তার মুল কারন হলো তোমায় না জানিয়েই গতকাল আমি ঘর ছেড়েছি - সোজা কথায় ঠিকানা বদলেছি হাতে সামান্য যা টাকা ছিলো তাই নিয়েই - তুমি জানোই যে আমার জীবনে পুরানো বলতে শুধুই তুমি - তো দেখলাম তোমাকে নিয়ে এখানে থাকা চলবে না আর অন্যদিকে নতুনের প্রতি আমার আদিম একটা নেশা - তাই ভাবলাম আপাতত ঠিকানাটা একটু বদলানোই যাক - তাই চলেছি নতুন কোথাও যেখান থেকে কিনা তোমার সাথে যোগাযোগ ও থাকবে আবার একটু অভিজ্ঞতাও হবে নতুন করে আবার একবার ঘর বাঁধার ।
তুমি বলো , যে তুমি জানলে কি আসতে দিতে আমায় ?
কতোবার তো বলেছি তোমায় , যে আমায় না হয় রাখো তোমার পায়ের নূপুর করে - অবিরাম তোমার সাথে ছন্দ মিলিয়েই চলতাম । অথবা কানের দুল - তাতেও তো তোমার খোলা চুল দিয়ে আমায় জড়িয়ে থাকতে পারতে , - সুবিধা এই যে ,যখন তখন দুজনের হাতাহাতি হতেই পারতো । কিন্তু সেসব না করে তুমি আমায় কিনা রাখলে সেই দামী গয়নার বাক্সে - একদম আড়ালে -আবডালে - একটু বেশি যত্নে ।
তাই আর বেশি ভাবনা চিন্তা না করে বেশ তাড়াহুড়ো করেই চলা শুরু । খুব দুরেও নয় আবার একদম কাছেও নয় । আপাতত স্থায়ী কোন ঠিকানাই নয় - জায়গা পছন্দ হওয়ার ব্যাপার আছে - তাকে আমাদের মেনে নেওয়া আর মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপার আছে আর তারপর সবশেষে আছে তোমার পছন্দ । সেটা না মিললে তো সবই ফালতু ।
মানে এক জটিল সিড়িভাঙ্গা অংকের গোঁড়ায় গলদ ।
অনেক কিছু ভেবে মনে হলো খুব ঝকমকে বা সাজানো গোছান নাগরিক জীবন আর ভালো লাগছে না । টাকায় ধনী উদার অথচ ভিতরে আপাদমস্তক হতাশ অথবা মুখোশের আড়ালে যে ভদ্র প্রতিবেশী সময় পেলে তোমাকে বা আমাকে নিয়ে গবেষণা করতে পারে , তাদেরকে আর আমাদের জীবনে প্রয়োজন নেই । ওরা বেক্তি নয় - বস্তু । বস্তুভোগ অনেক করেছি - এখন ঘেন্না এসে গেছে ।
আমাদের এখন চাই অনেকটা শান্তি , নির্জনতা আর অনেক অনেক অবসর - ভালোবাসার সময় আমাদের চাই , চাই , চাই ।
তোমাকে এতদিনে যেটুকু চিনেছি অথবা নিজেকে মনে হয় যতোটা বুঝেছি - তাতে করে আমাদের চাই এমন কোন একটা জায়গা , যা অনেকেই আবার চায়না - তুমি চাও , আমি চাই - কারন আমাদের চাই অনেক অনেক স্তব্ধতা - নিজেদের একাকিত্মের কথা বলার জন্য , শোনার জন্য - একাত্ম হওয়ার জন্য ।
বিশাল এক বাংলো না হোক সামান্য একটা খোলা বারান্দা ঘরের সামনে তোমার চাই । যেখানে গরমের সন্ধ্যায় তুমি খোলা চুলে দেওয়ালে ঠেশ দিয়ে বসলেই , আমি নিশ্চিন্তে তোমার কোলে মাথা রেখে শুতে পারবো । আর ঘরের কাছে একটা বয়ে চলা নদী থাকলে ভালোই - গরমের সন্ধ্যায় আকাশে চাঁদ এলে - সেই নদীতে ডুব সাঁতার দিয়ে একে অপরকে দেখতে পারবো - দম বন্ধ না হয়ে আসার সময় পর্যন্ত ।
লেখাপড়া নেই , পরনে ভালো কাপড় নেই , এমনকি না খেয়ে থাকলেই যে কারো কাছে যে খাবার চাইতে নেই - এমন সব হা-ঘরে , হাভাতে আর হতভাগা কিছু বাচ্চাদের দল আশে পাশে থাকুক - তাতে খুব একটা অসুবিধা নেই - তবে খুব ভালো হবে যদি কিনা সামনে সীমানাহীন মাঠ থাকে - কোন এক বিরক্তিকর রাতে যদি নিজেদের আর একে অপরকে ভালো না লাগে - তবে দুজনে মাঠের দুই দিকে গিয়ে চুপচাপ বসে থাকবো ।
তুমি ভাবতেই পারো যে কিনা প্রকাশ্যে বলতেই পারেনি , " তোমায় ভালোবাসি " বা একমুঠো সিঁদুর কপালে লেপ্টে দিয়ে বলতে পারেনি ," আজ থেকে আমি নয় , আমরা হলাম "- সে কোন সাহসে এতোকিছু ভাবে ?
সেখানে আমারো নিজের কিছু যুক্তি আছে - গাছ থেকে ফল পড়লে , সেই ফলের গায়ে তো লেখা থাকেনা যে এটা নিউটনের সূত্র মেনে হলো , অথবা যাত্রা শেষে জাহাজ বন্দরে ফিরে এলে তো কেউ বলেনা যে ," কলম্বাসের সুত্র মেনে তাকে ফিরতেই হতো ।
কোথায় হারিয়ে যায় নিউটনের পাণ্ডিত্য অথবা কলম্বাসের বীরত্ব ? কেউই কিছুই মনে রাখেনা , কিন্তু তবু তাকে অস্বীকার করে - তাও হয়না ।
তোমার সাথে আমার একটা দেওয়া নেওয়া আছে - সেটা হয়তো কিছুটা তরঙ্গের মতো । ওটা কাউকে আলাদা করে দেখা বা দেখানোর , শোনা বা শোনানোর নয় - শুধু নিজেরা বুঝলেই হলো - " রোগীকে ওষুধ নিয়ম করে রোজ গিলতেই হবে কারন রোগ তার কাছে দায় - তার চাই মুক্তি । " তোমাকে আমি ভালোবাসি " - এ আমার দায় নয় , আমার অভ্যাস - আমি এর থেকে মুক্তি চাইনা , চাই তোমার বন্ধন , যা আমাকে নেশার মতো ঘিরে রাখবে ।
সেখানে আমারো নিজের কিছু যুক্তি আছে - গাছ থেকে ফল পড়লে , সেই ফলের গায়ে তো লেখা থাকেনা যে এটা নিউটনের সূত্র মেনে হলো , অথবা যাত্রা শেষে জাহাজ বন্দরে ফিরে এলে তো কেউ বলেনা যে ," কলম্বাসের সুত্র মেনে তাকে ফিরতেই হতো ।
কোথায় হারিয়ে যায় নিউটনের পাণ্ডিত্য অথবা কলম্বাসের বীরত্ব ? কেউই কিছুই মনে রাখেনা , কিন্তু তবু তাকে অস্বীকার করে - তাও হয়না ।
তোমার সাথে আমার একটা দেওয়া নেওয়া আছে - সেটা হয়তো কিছুটা তরঙ্গের মতো । ওটা কাউকে আলাদা করে দেখা বা দেখানোর , শোনা বা শোনানোর নয় - শুধু নিজেরা বুঝলেই হলো - " রোগীকে ওষুধ নিয়ম করে রোজ গিলতেই হবে কারন রোগ তার কাছে দায় - তার চাই মুক্তি । " তোমাকে আমি ভালোবাসি " - এ আমার দায় নয় , আমার অভ্যাস - আমি এর থেকে মুক্তি চাইনা , চাই তোমার বন্ধন , যা আমাকে নেশার মতো ঘিরে রাখবে ।
আর তাই সিঁদুর দিয়ে তোমার কপাল লাল করে দেওয়া ? সে সব আমি স্বপ্নেও ভাবিনা - তাতে তোমার কপালের নিজের সৌন্দর্যটাই যে নস্ট হবে - সাদা একটা ক্যানভাসে কেউ একটু রঙ লেপে দিলেই সেটা তো আর ছবি হয়না - বরং যেটা হয় , আমার ভাষায় তা হলো ," নষ্ট "।
শুধু সিঁদুরই বা কেন ? আসলে নিয়মের অনেক কিছু নিয়েই আমার কোন মাথাব্যাথাই নেই । সে বস্তু থাক তার মতো তার নিজের সমাজের গণ্ডীতে - কিন্তু আমার মনের প্রেমে , আমার শরীরের কামনায় -তাকে আমি শুধু মুল্যহীন নয় , মনে করি অবাঞ্ছিত জড়ের কনামাত্র - তাই বলতে পারো আমার কাছে বরং পয়সা দিয়ে কেনা বাজারের পাস্টিকের বাক্সের লাল সিঁদুরের থেকে অনেক অনেক বেশি ভালোলাগে তোমার ব্লাউজের পিঠের দিকে লেগে থাকা তোমার ঘামের সাদা দাগ । কারন ঐ দাগের মধ্যে কোন না কোন ভাবে তুমি তো আছোই - আছে তোমারই শরীরের লবন ।
এই ধরনের কথা তুমি তো আর নতুন শুনছো না , তাই আর নতুন করে চমকে ওঠা বা আলাদা করে ভালো লেগে নতুন করে প্রেমে পরার ব্যাপার নেই ।
তোমাকে বলার মতো তো কতো কথাই তো আছে , কিন্তু আজ এইসময় তার না আছে অবসর , আর না আছে পরিস্থিতি ।
শুধু এইটুকু বলতে পারি যে , এই ব্যাবধান সামান্য । কোনমতে একটা ভালো জায়গা পেলেই , কি করে বেহিসেবীর মতো সব হিসেব বদলে দিতে হয় - সে তুমি আর আমি দুজনেই ভালো জানি।
তখন দেখা যাবে কার জোর বেশী ? একদিকে আমি দুহাত তুলে প্রানপনে তোমায় ডাকবো , সে ডাক চলে যাবে কোথায় না কোথায় - তার কম্পন ছড়িয়ে পড়বে দিনের শেষে বাসায় ফেরা পাখিদের ডানায় আর তুমিও সেদিন শাড়িটা দুই হাতে ধরে গোড়ালির উপর তুলে ছুটে আসবে মুক্ত হরিনীর মতোই - তার গতি বসন্তের রিমঝিম বাতাসের মতো নয়, সুরে মাদকতা থাকবে না , - সে হবে দূরন্ত প্রলয় ঝড়ের মতোই । তাতে ভাঙ্গাচোরা হবে অনেক , রসাতলে যাবে আরো কিছু - সেই সে ঝড়ের শেষে থেকে যাবে তারাই , যারা কাছের মানুষ হয়ে কাছেই থাকতে চায় ।
আপাতত যে কথাটা শুনে তুমি হেসে উঠবে সেটা হলো , আমি কিন্তু এখনো এই শহরেই আছি । আজ বিকেল ৪ টা থেকে ৪ টা ৩০ মিনিট আমার সাথে তোমার দেখা হতেই পারে। কিন্তু তার জন্য যে তোমায় আসতে হবে তোমার বান্ধবী প্রীতির বাড়ী ।ওদের বাড়ীর পশ্চিমের যে ঘরটা আছে , তুমি তার পশ্চিমের জানলায় বসবে । দুর থেকে আমাদের মধ্যে কোন কথাই হয়তো হবেনা , কিন্তু একবার দেখা তো হবে । তাতেও চোখের সুখ আর আত্মার শান্তি । তবে ব্যাস্ততার তেমন কিছুই নেই। এদেশে কোনকিছুই সময়ে চলেনা , ( ভেবোনা তোমাকেও বলছি ) - তাই সামান্য দেরী হলেও চলবে । তবে মোটামুটি সময় টা ঐ বিকালের দিকে বা সন্ধ্যার আগে - মানে গোধুলি লগ্নের মিলন । আর একটা অনুরোধ , পারলে সেই -ই গোলাপি চুড়িদারটাই পরে এসো। ওটা তো আমাদের দুজনেরই প্রিয় । সময়টা ভুলোনা কিন্তু ।
প্রীতির বাড়ির ঐ ডান দিকের লাশকাটা ঘর থেকে ঐ সময় আমার বেরোবার কথা -গায়ে লেখা থাকবে "২৮ নম্বর" ।
ইতি
তোমারই
CHOCOLATE .
THANKS.
S.V.O
ভালো লাগলে পড়ুন -একটি সন্ধ্যার কথা
2 Comments
.....
Watermelon.. Mojito...
Mocktail drink for Scorching 🌞🏖️ summer
Watch my video.. On YouTube by click on the link below
https://youtu.be/VA_NFEn3y5w
If you like my video.. Plss subscribe my channel
Bhuribhoj#
Also like.. Share.. Comment..