DESTINY IS NEVERLAND AND NEVERLAND IS DESTINY.
PEN- PROLAY .
INK-ANANYA.
রাজ্যপাট
হেন কালে রাজসভায় হইলো - দেবতাসম রাজ পদার্পণ ,
ভক্তরা যে অভ্যর্থনা জানাইলো -তাহা ছাড়াইলো অসুরের গর্জন।
মহারাজা - " উপবিষ্ট হউন সকলেই - অন্তরে শান্ত হইয়া ,
বিচলিত হইলা পরে , মম কর্ম যে হয় নষ্ট ,
তাহাতে আমারি সন্তানসম প্রজাগণেরই কষ্ট ,
যদিও না শুনিলেও চলে অযথা কাহিনী ,
হাতে তো আছে মোর দৈব সমাধান ,
ভাবিও না সামান্য কিছু ,
বহু অর্থ ব্যায়ে আনিয়াছি ," দেশেরই সৌভাগ্য "
নাম তাহার ," দেবতার নিদান"।
তবু সকলে মিলিয়া না হয় , আজি কহ মোরে কিছু শুনি ,
কাহারো যদি মনেও থাকে কোন বিন্দুমাত্র দ্বিধা ,
আগে না শুনিলে , পরে আসিতেই পারে দৈবিক বাধা "।
সেনাপতি - " মহারাজ, শত্রু নাহি , ধ্বংশ নাহি , নাহি অশান্তি ভরা জীবন ,
এই কি সৈন্য জীবন - যুদ্ধ না করিলে যে ভক্তগনের কাঁদে মন !
প্রতিবেশী দেশ , রাজ্য , যাহারা আছে সকল ঘিরিয়া -যুদ্ধে আমন্ত্রণ জানিয়েছি পদব্রজে ঘুরিয়া।
আবার যেখানে সুখ আছে , শান্তি আছে , সেখানে ধনীরা বলেছে ,
"লড়াইতে মিছে অর্থ ব্যয়, শোন বরং সংগীত বা বাদ্য " ।
মহারাজা - " পরিস্থিতি যদি এতোই হয় সংকট ময় - আগেই কেন কহ নাই মোরে ?
সৈন্যের গায়ে জমিলে মেদ - প্রবল সমস্যা যে আসবেই ঘাড়ে "।
সেনাপতি- "তবে দিন মহারাজ এমনি কিছু সমাধান -যাহাতে প্রস্ফুটিত হইবে ঐশ্বরিক নিদান "।
মহারাজা- "আজি হইতে শুরু হোক লড়াই এর ঘোষণা ,সাথে পারিলে মিশাইয়া দিও কাল্পনিক রটনা ,
রাজ্য চাইনা , ধন চাইনা , চাই নতুন এক লড়াই -দেখিয়া লইও , " কেহ যেন বাদ নাহি যায়" ।
প্রতিবেশীরা স্বাধীন সকলে ,-তাহাদের তো করিতে না পারি বাধ্য ,
অগত্যা আপাতত না হয় , স্বগৃহেই হোক খেলার ছলে যুদ্ধ " ।রসিক - " ধন্য আজি মোদের দেশ মাতৃকা - ধন্য রাজার অসীম মনোবল ,
রাজার ই ইচ্ছায় তো গাছ থেকে নেমে আসে যাবতীয় ফুল ও ফল "।
বেচারা পন্ডিত -" বহুকষ্টে নিজগুনে যত দিয়েছিনু শ্রম -কালের নিয়মে দেখি মিথ্যা সকলই - শুধুই পণ্ডশ্রম ।
মহারাজা - সমস্যা কিবা আর , কহ মন খুলিয়া , প্রয়োজনে রাজ জ্যোতিষী - আসিবেন নামিয়া ।
বেচারা পণ্ডিত - "যতেক ছিল ছাত্রসকল , তাহাদের করিয়াছি পাঠদান ,
শিখায়ছি কিছু শিল্পকলা আর সাথে কিছু বিজ্ঞান ,
কিন্তু পাঠের শেষে তাহারা , যাহা কিনা দিলো উওর,
তাহাতে লজ্জিত নিজেই আমি, ভাবিলেই কাঁপিয়া ওঠে অন্তর " ।
মহারাজা - "ওহে পন্ডিত , তুমি যে দুর্বল , তাহা তো সকলেই জানি,
কিন্তু এভাবে অশ্রুমোচনে , লাভ কি হইবে শুনি ?
ভণিতা ছাড়িয়া কহ , অবুঝ ছাত্রগন - কি তাহারা বলে ,
পরিস্থিতি মতো বিধান দিবো , আজি এই সভাস্থলে " ।
বেচারা পন্ডিত - তাহারা কহে ,
" রাজা হইতে মন্ত্রী , মন্ত্রী হইতে সেনাপতি - সকলেই যেন যন্ত্র ,
অজানা কোন নেশায় মগ্ন সকলেই - তাই শোনেন কাল্পনিক মন্ত্র।
তাহারা আরো কহে ,
" রাজার হাত আছে এমনি বাঁধা , তাহাকে দেখিলেও হাসে সকল গাধা " ।
মহারাজা - বুঝিলে পন্ডিত্ ,
"এই একমাত্র কারনেই বেতন অতি নগন্য -পরনিন্দা না করিলে কি মুখে উঠেনা অন্ন ?
দেবতার নিদান আমি দিবো সভাস্থলে আজি - তাহাতে তো হইতেই হইবে সকলের রাজী।
দুষ্ট যতেক ছাত্রগণ কহিয়াছে এমন কথা - জানিবে তাহারাই সঠিক , উহাদের দিওনা ব্যাথা।
কহ তাহাদের বাক্য শুনি রাজা হইয়াছে পুন্যবান - তাই প্রাপ্য তাহাদের উপযুক্ত সম্মান ।
কহ বিদ্যাদানের পদ্ধতিই ছিলো ভূলে ভরা - নতুন নতুন পাঠ্য হইবে , নিয়ম হইবে কড়া "।
রসিক - "ধন্য ধন্য এ জন্মভূমি , রাজার মহাজাগতিক মেধা - এই বিচার না দেখিলে হইয়া থাকিতাম গাধা"।
উন্মাদ চাষা - " যদি কৃপা করি একবার , ভূমিকে দেন ধমকাইয়া -
ফসল হইতে পারে, না হইলে যাইবে বিগড়াইয়া ,
চাষের মাঠে বৃষ্টি নাহি , ভুমিতে নাহি ফসল -
শিশুর খাদ্য বলিতে কেবলি আছে বুনো ফল।
ধান, পাট বা তিল - কিছুই তো নাহি হয়-
বহুকাল হলো জোটেনা অন্ন - শরীরে বা কতো সয় ?
মহারাজা - ওহে অধম কৃষক ,
" এই কারনেই তুমি নিত্যকাল কাদা এবং মাটিতেই থাকো -
ভূমি তো আমারই, তাহাকে লইয়া মিথ্যা কাহিনী রাখো।
" এই কারনেই তুমি নিত্যকাল কাদা এবং মাটিতেই থাকো -
ভূমি তো আমারই, তাহাকে লইয়া মিথ্যা কাহিনী রাখো।
দেবতা কহিয়াছেন মোরে - দিয়াছেন অভিশাপ -
কুমারী ভূমিতে ফলিলে ফসল - কে হইবে তাহার বাপ ?
কুমারী ভূমিতে ফলিলে ফসল - কে হইবে তাহার বাপ ?
ভূমিতে চাহিলে ফসল - আয়োজন করো বিবাহ -
পাত্র হইবে ধানের শীষ - চাই যোগ্য সমারোহ।
পাত্র হইবে ধানের শীষ - চাই যোগ্য সমারোহ।
সতীত্ব হারাইলে ভূমি - তবেই তো হইবে সে উর্বরা ,
তখনই দেখিবে ধানে আছে গোলা ভরা " ।
তখনই দেখিবে ধানে আছে গোলা ভরা " ।
রসিক - " এ কি মহান রাজা - রাজকীয় বিচার শুনিলাম আজি -
সভাস্থলে না আসিলে যে হইতাম জন্মসুত্রেই পাজি "।
সভাস্থলে না আসিলে যে হইতাম জন্মসুত্রেই পাজি "।
দুস্ট ছাত্রগন " - " মহামান্য মহারাজ - যদি পাই অনুমতি -
বিনম্র চিত্তে ত্রিভুবন পতির কাছে - তবে করি নিবেদন,
বিনম্র চিত্তে ত্রিভুবন পতির কাছে - তবে করি নিবেদন,
অধম সকল দেশবাসীর - সামান্য দীন হীন আবেদন " ।
মহারাজা - " কহো কহো - সকলেই কহো উচ্চশিরে --
গুন ভরা সম্বোধনে আজি - মম অন্তর উঠিলো ভরে " ।
গুন ভরা সম্বোধনে আজি - মম অন্তর উঠিলো ভরে " ।
ভদ্রছাত্রগন - " ত্রিভুবনে সকলেই একথা জানে - সাধারণ মনুষ্য আপনি নন ,
রাজকীয়তা সামান্য ছদ্মবেশই মাত্র , জগতের দেবতা আপনি হন।
রাজকীয়তা সামান্য ছদ্মবেশই মাত্র , জগতের দেবতা আপনি হন।
অতিজাগ্রত লগ্নে আপনার -ধরাধামে আগমন -
আপনার পুণ্য বাণী অনুভব করিয়াছি -
সঁপিয়া দিয়াছি মন।
আপনার পুণ্য বাণী অনুভব করিয়াছি -
সঁপিয়া দিয়াছি মন।
উচ্চকোটির পরমাত্মা আপনি - আছেন সামান্য ছদ্মবেশে - সুধাপান করান মানবজাতিকে,
ভ্রমন না হয় করুন - ধরাধামের সকল দেশে- পাপজাত জগতের , যে পাপীরা আছে অভুক্ত,
আপনার পদধুলিতেই - হইবে সকলেই মুক্ত।
বিশ্ব চরাচর জুড়ে আজি - চায় সকলেই কোন ত্রাতা -
আপনাকে বাধিলে যে - মোদের থাকিবে না মানবিকতা ।
আপনাকে বাধিলে যে - মোদের থাকিবে না মানবিকতা ।
সৃস্টির কেন্দ্রে আপনি - আপনি নিজেও তা অবহিত অন্তরে, তাই মুক্ত করুন এইবার মানবজাতিকে - করুনাময় মহারাজ তব করুনা করে "
মহারাজা - " কহেছো বটে আমারি অন্তরের কথা - আজি তবে বুঝিয়াছো সকলে ,
সামান্য এই বানী টুকু বুঝাইতে চাহিয়াছি মাত্র - ছলে বলে বা সুকৌশলে ।
কল্য হইতে বন্ধ রহিবে সভা - যাইব বিদেশ ভ্রমনে ,
শুনিব সকলের মনের কথা - থাকিব ভক্তের মনে " ।
THANKS.
S.V.O
FOR MORE----একটি সামান্য ঘটনা
0 Comments