ভাষার নাম বাংলা

DESTINY IS NEVERLAND AND NEVERLAND IS DESTINY. 
PEN-PROLAY. 
INK-ANANYA.
CON= +91-9732803838

সুযোগের যুগ এসেছে । এখন সব জায়গায় শুধু সুযোগ আর  সুযোগ ।  কেনার সুযোগ , বিক্রী করার সুযোগ , দেওয়ার সুযোগ , নেওয়ার সুযোগ । হাজার হাজার সুযোগের ভিতর কোনটা কার জন্য কেমন সুযোগ - তাও বিচারের সুযোগ আছে । সুযোগের অনেক কিছুই জানার আছে , জানানোর আছে , সন্দেহ থাকলে - তাও নিরসনের পথ আছে । চাঁদে নাকি মঙ্গল গ্রহে - কোথায় গেলে আগে জল পাওয়া যেতে পারে ?  বা সেই জলের রাসায়নিক গঠন কেমনই  বা হতে পারে ? আফ্রিকার সোমালিয়ায় পুষ্টির হার কেমন ?  আমেরিকায় প্রতি বর্গ কিলোমিটারে জনঘনত্ত্ব কতো ? - এসব এখন স্কুল কাঁপানো ফেলুবাবুরাও  গুগল কলেজ বা ফেসবুক ইউনিভার্সিটির মাধ্যমেই জেনে গেছেন আর তারা যে সব জেনে গেছেন - সেটা সকলকে জানানোর সুযোগ তারা ছাড়ছেন না ।  


 এই সুযোগে আমরাও নতুন নতুন শব্দের সাথে পরিচিত হচ্ছি - যেমন ধরুন FEAR FACTOR । .  

 আমাদের খাদ্যের মান এবং পরিমান  , পানীয়  জল , সুবাতাস  , নুন্যতম  নিরাপত্তা , সামাজিক বন্টন  , জীবন্ ধারন-এসব নানা দিক থেকে আমরা হয়ত অনেকের থেকে পিছিয়ে আছি । কিন্তু " FEAR FACTOR " - এ  আমরা অনেক অনেক এগিয়ে । যদি কোথাও কোনকিছু  , কোনোভাবে আমাদের এক সুত্রে বেঁধে রেখেছে, তো সে হলো - এই ভয় পাওয়া । 


আমি মাঝে মাঝে  ভয় পাই - আজকাল নানারকম শব্দ শুনি - যার মানে আমি কিছু বুঝি আর অনেকটাই বুঝিনা । যেটুকু বুঝিনা - সেটা অবশ্য পরে চেস্টা করে বুঝে নিতে হয়- কারন আমি সেই নতুন শব্দ  বুঝে না নিতে পারলে , আমার স্বজাতিরাই আমাকে ত্যাগ করবে। তাতে আমি হয়তো অসামাজিক হয়ে যাব । কিছু কিছু সমাজে আবার  সমাজবিরোধী হওয়া যায় , কিন্তু অসামাজিক হওয়া ঠিক নয় । 
জগতের নিকৃষ্টতম প্রানীও তার নিজের পরিবেশ থেকে তার নিজের সুবিধার জন্য নানারকম আওয়াজ বা আকার ইঙ্গীত করা  শেখে । আমাদের মানুষের কাছে তাকে বলে ভাষা । নিজের পরিবার বা পরিবেশ থেকে যে ভাষা আমরা শিখি তাকে বলে মাতৃভাষা অথবা  MOTHER / FIRST / NATIVE LANGUAGE- জাতি হিসাবে আমারা বাঙালি আর আমাদের ভাষা বাংলা । এই ভাষা আমরা অভ্যাস আর চেস্টার মাধ্যমে শিখি ।তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষ্যা মাধ্যমেও শেখানো হয়। 
 তবে শেখানো বলতে আমি শুধুই  সিলেবাস আর  নম্বরের কথা বলছি না- বলছি নিজেদের সামান্য কিছু চাহিদার কথা । যেমন  নিজের কিছু কথা বলা  বা অন্যের কথা শোনা বা তার অবস্থা বুঝে সেটা অনুভব করা - এই সব  লেনদেনের কথা বলছি । বিদেশী দামী গাড়ী , বিদেশী খাবার অথবা আরো হাজার বিলাসিতার বাইরেও তো  জীবনের নানা স্তর আছে । আর বিভিন্ন স্তরেই নানা রকম  প্রয়োজন আছেই । 
সারা কোলকাতা শহর , জেলা শহর বা সদ্য গ্রাম থেকে পরিবর্তন হয়ে যে শহর গুলো - সেই সব জায়গায় English আর  Bengali medium মিলিয়ে বিভিন্ন স্তরের যতোগুলো স্কুল আছে ,   সেখানে কি  ইংরাজী আর বাংলা দুটো ভাষাই সমানভাবে শেখানো হয় ? 
হতেই পারে সব  সভ্য ভদ্র বাঙালি মানুষের তার নিজস্ব পছন্দের  সমাজে মিশতে গেলে আজকাল হয়তো  নজরুল  বা রবীন্দ্রনাথের  বা সত্যেন বোসের নাম দরকার নেই  ।
তবে এখন সত্যিকারের জাতে উঠতে গেলে আর কিছু না হোক  নজরুলের বদলে গ্রেটা , রবীন্দ্রনাথের  বদলে কাফকা ,বা সত্যেন বোসের বদলে টেসলা - এমন কিছু নাম কিন্তু লোকসমাজে বলতে হবে । না হলে হাতে গ্লাস থাকবে শ্যাম্পনের আর নেশা হবে দেশী বুক জ্বলানো মদের মতোই । কারন দেশী পছন্দ না হলে বিদেশী বেক্তিদের ব্যাপারেও জানার সুযোগ তো এখন অনেক আছে । নিয়ম করে জানতে হয়- না হলে পিছিয়ে পড়তে হয়।  

এখন কথা হলো  এইসব যাবতীয় লেনদেনের  জন্য তো একটা ভাষার খুব দরকার - আর সেই ভাষারও আবার দরকার নিজের গুনে নিজেই পুষ্ট হয়ে ওঠা -তাতে তার দেওয়া এবং নেওয়ার জায়গা থাকে। আর সেই আদান প্রদানের ভাষা যদি হয় অপুষ্ট , তবে স্বাভাবিকভাবেই আদান প্রদানটাও তেমনি হয়ে যায় । সে তখন শুধুই পাগলের প্রলাপ বা মড়ার বিলাপ- কিন্তু মানুষের আলাপ তো নয়- তাতে শব্দ হয় , কিন্তু কথা হয়না  । 
অথচ সভ্য সমাজের সভ্য জীব হিসাবে একটা সভ্য ভাষা আমাদের নিতান্তই দরকার ।   . 
ভাষা আছে - কিন্তু তাতে সভ্যতার স্বীকৃতি আছে কিনা -  কেউ সঠিক ভাবে বলেনি । 

নানা রকম শব্দ আর অঙ্গভঙ্গি করে বাজারের সস্তা পন্যের মতো নিত্যনতুন রোজ অনেক ভাষার আমদানী চলছে । সে ভাষায় কিছু কথা হয় বটে , কিন্ত প্রায় অর্থহীন  - তাতে না হয় সাহিত্য না হয় গবেসনার কাজ - শুভ এবং সভ্য জগতে তার স্থান হয়নি এখনো।    

example চাই ?
১) আজ ঘরে তো কেউ নেই - তো একটু দারু হোতে পারে।
২)ভালো কিছু করতে গেলে তো effort  জারী রাখতেই হবে।
৩) যদিও আদালতের রায়ে বিষয় টা মান্যতা পেলোনা । 
   
  এই সব  word  গুলো ঠিক পুরোপুরি আমাদের ভাষার নয়-  মানে বাংলায় এই শব্দ গুলোর ব্যাবহার এভাবে হয়না -  এই ভাষাতে রবীন্দ্রনাথ  নোবেল পাননি ,  সত্যজিত  রায় অস্কার পাননি  বা সত্যেন্ বোসের মতো লোক গবেষণাও করেননি ।  
 আবার সেই ভাষাও নয় - যে ভাষায় আজও সারা পৃথিবীর আকাশে  চলে - যাকে লোকে বলে " sky language "  বা  standard language - English ।  .    English  কেন,  কিভাবে আমাদের জীবনের সাথে জড়িয়ে আছে,  আর সেটা না থাকলেই বা কি কি হতে পারে ,  সেসব নিয়ে একটাও word  না লিখলেও চলে।

কিন্তু এই  যে  মাঝের এই  bold word  গুলো  আবার  কোন ভাষার ?  আর এগুলো  কেন আর কিভাবে , বা কার প্রয়োজনেই  বা আমার  বা আমাদের  ভাষার চেনা   circle  এর ভিতর  এসে গেলো ? 
বা  এসব  ঝংকার জাতীয়  শব্দ  এসে  ultimately  আমাদের  লাভই বা কি হলো ?
আপনি বলতেই পারেন যে ভাষা কেউই  direct  লাভের জন্য শেখেনা , বা আরো একধাপ্ এগিয়ে বলতেই পারেন যে আজকের দিনে  global market - এ  ,  যে   Multi-lingual হতে পারবে , সে একধাপ এগিয়ে থাকবে ।
 এটা আজকাল প্রায় সকলেই জানে ।  
 নিজের মাতৃভাষার  সাথে English ,   Japanese  ,  Greek , Russian  German , Italian , French , Spanish  ,    এর মতো  top rated language  শিখলে - সত্যি বলতে লাভ ছাড়া লোকসান নেই   ।

  সহজ কথায়  যে সব ভাষায় নোবেল , গ্র্যামি , ম্যাগসাইসাই বা অস্কার আসে ,  যে সব ভাষায় পৃথিবীর বিখ্যাত লোকেরা কথা বলে , বা যেসব ভাষার উপর ভর করে বিশ্ব বানিজ্য চলে  - সেগুলো হলো সভ্যতার ভাষা । আর বাকি গুলো  সভ্যতার স্বীকৃতিহীনতায় ভুগছে  । 

 আজকাল  অন্তত  আমার  কিছু  পরিচিত  মানুষ বেশ   গর্ব করেই বলেন , " আমার ছেলে / মেয়েটা বাংলা টা বুঝতেই/ বলতেই / লিখতেই পারেনা " -  তবে সে  পারবেই বা কি করে ? 
 অনেকেই তো  বাচ্চাকে  তিন বছর বয়সেই তিন কেজি ওজনের একটা স্কুল ব্যাগ চাপিয়ে  দেন ।  পকেটের নগদ টাকার উত্তাপে বাস্তবের তাপ তেমন বোঝা যায়না সাময়িক ভাবে  ।  যেমন করে হোক  একটা   English Medium  স্কুলে  admission  করিয়ে দিয়েই তো  ভেবে বসে থাকেন  যে ,   তেনাদের প্রদীপের সলতে  স্কুলে নয় , নাসায় গেছে তার  paper জমা দিতে ।
 " বাচ্চা  দু -চারটে  English  শব্দ বলেই  রাতারাতি  International Celebrity  হয়ে যাবে অথবা   বাংলাটা তো  লাগবেই না   " - এটা এখন খুব সাধারন ভাবনা । তবে বাচ্চা শুধু ইংরাজী শিখলে সব ঠিক ছিলো - কিন্তু  বাংলার বদলি হিসাবে দ্বিতীয়  ভাষাও আবার লাগবে ।

 এর পাশাপাশি একদম খাস কোলকাতার থেকেই শুনছি অনেক নামকরা বাংলা মাধ্যম স্কুল উঠেই যাছে । কারন সেখানে নাকি ছাত্র ছাত্রী নেই -  আমার মতে এটা বাংলা ভাষার জন্য আগামীদিনে আর্থিকভাবে  খুব ভালো দিক -  Economics  এ বলে কোন পণ্যের দাম বাড়ার আগে , সেটাকে বাজার থেকে দূরে সরিয়ে দেওয়া হয় । তারপর সময়মতো বাজারের প্রয়োজন বুঝে আস্তে আস্তে দাম বাড়িয়ে কিছু রুপ বদল করে আবার সেটা ফিরিয়ে আনা হয় । তখন তার বাজারমূল্য যায় অনেক বেড়ে ।  এই যে আমরা দেখছি একটার পর একটা বাংলা মাধ্যমের স্কুল বন্ধ হয়ে চলেছে - তার মানে এটা নয় যে বাংলা ভাষা মরতে বসেছে । হতেই পারে সাহিত্যে বা অর্থনীতিতে সামগ্রিক অবদানের হিসাবে আগামীদিনে বাংলা ভাষা আরো মূল্য বাড়িয়ে অমূল্য হয়ে আসতে চলেছে বাংলার বুকেই  । মানে আজ যেটা বিনা পয়সায় বাঙালীরা শিখতে পারছে , সেটা শিখতেই আগামীদিনে ডলার বা ইউরো দিতে হবে ।

সমাজের নতুন উদ্ভট  ধনী শ্রেণী - যারা  বিদ্যা , বুদ্ধি , বোধহীনতায় ভুগছেন , তাদের  রক্তচাপ আর টাকার চাপের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরীরে সোনার অলংকার আর পান্না , হীরের চাপ - তারা নতুন করে বাংলা ভাষার মূল্যায়ন  করতে বসেছেন ।   তাদের সন্তানরা  অনেকেই " first generation learner of the family " -  মানে যাদের পরিবারে আগে কেউ কোনওদিন স্কুলে যায়নি , বা গিয়ে থাকলেও , তাতে লাভ কিছুই হয়নি - আপাতত বাংলা ভাষা শুধু তাদের কাছেই মরতে বসেছে। কারন বাংলা ছাড়া আর কোন ভাষার বুকে সরাসরি গুলি করা হয়নি - আর কোন ভাষার বুক থেকে রক্ত ঝরেনি । বাংলা ভাষার রক্তের ফোঁটায় জন্ম নিয়েছে গবেষণা আর সাহিত্য । 
উন্নত দেশের  মাটিতে বাংলা ভাষা বহাল তবিয়তে ছিলো , আছে এবং থাকবে। 
মজার কথা এই , সরকার ছাত্র ছাত্রীর অভাবে যেসব বাংলা স্কুল গুলো আজ তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে , হয়তো আজ থেকে ২০/ ৩০ বছর পরে ঐ বাড়িগুলোতেই "  Institute of Bengali Language "  জাতীয়  নামের বিপুল কর্মকাণ্ড চলবে - আমাদের সন্তানরাই হয়তো আবার সেখানে যাবে বাংলা ভাষা শিখতে ,  বিপুল অংকের টাকা গুনতে হবে , কিন্তু মালিক হয়তো হবে কোন অবাঙালী , যার  D.N.A TEST করলে অর্থ  পাওয়া যেতে পারে  , কিন্তু অমর্ত্য সেন বা অভিজিত বন্দ্যোপাধ্যায়ের  মতো অর্থনীতি পাওয়া যাবেনা ।
 এতো না হয় গেলো বাংলা ভাষার কথা।
 কিন্তু   next generation ? 
 যাদের আমরা   বাংলা  বলতে শেখাইনি -  সুযোগ থাকার পরেও প্রথম ভাষা হিসাবে ইংরাজী আর দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে হিন্দী শিখিয়েছি ? যাদের আমরা ভেবেছিলাম হাসপাতালে জন্মানোর পরেই কোনমতে স্কুল শেষ করেই   সরাসরি  NASA তে যাবে  অথবা   Genetic  Researcher  হবে   ,   অথবা আরো একধাপ এগিয়ে  মহাকাশে   পা রাখবে  ,   তাদের  আবার  দ্বিতীয় ভাষা হিসাবে হিন্দীর  দরকার পরলো কেন  ? 
পেলে , মারাদোনা , মাইকেল জ্যাকসন , মেসি  ,  ফেডেরার , বা আরো হাজার প্রতিভাবান বেক্তিদের কি দেখেছেন দ্বিতীয় ভাষা ব্যাবহার করতে । মাতৃভাষা যদি নিতান্তই খারাপ লাগে , তবে সন্তানকে এমনভাবে বড়ো করা উচিত , যাতে  আগামীতে তার সাংবাদিক বৈঠকে অন্তত ১০ টা দেশের লোক থাকে দোভাষী নিয়ে।

Educational ground কারো কারো  logic থাকতেই পারে যে C.B.S.E / I.C.S.E এর মতো CENTRAL BOARD এ তো  খুব  naturally Hindi  Second Language  হিসাবেই থাকবে।
 কিন্তু আমরা একবারো  কি জানতেও চাইতে পারিনা যে তাহলে  South Indian School তে এই নিয়মে কেন Hindi Second Language  হয় না কেন  ? তবে কি সেখানকার স্কুল গুলো  American / England  এর  কোন Board - এর নিয়ম মেনে চলে ?

কেউ নিজের  personal  Logic  দেখাতেই পারে , যে  Hindi  না জানলে সে সারা ভারতের সাথে পরিচিত হবে কি করে ?
 কিন্তু   আমার ছোট মাথায় ছোট প্রশ্ন ? 
 কি দরকার  ultimately  সারা ভারতের সাথে পরিচিত হয়ে  ?  সাধারনত আমরা বিখ্যাত বেক্তিদেরই  নিয়ে কিছু ভাবি ।    কিন্তু আমরা নিজেরা ভেবে কাউকে বিখ্যাত করেছি- এমন অপবাদ কেউই দিতে পারবেন না। সত্যেন বসু ,  রবীন্দ্রনাথ, অমর্ত্য সেন , সত্যজিত  রায় - আমরা এদের প্রত্যেক-কেই জাতীয় স্তরে সম্মান বা অসম্মান - যাই করেছি , সেটা সারা বিশ্বে পরিচিতি পাওয়ার পরে। আলাদা করে এদের কাজ নিয়ে কয়জন ভেবেছেন ? সাধারন খেটে খাওয়া মানুষের  সবকিছু জানা সম্ভব নয়- কিন্তু পন্ডিত সমাজ বা কোন সরকার তো এদের নিয়ে আগে ভাবেননি বা সাধারন মানুষের সাথে তাদের কোনভাবেই পরিচয় করাননি। কিন্তু বিশ্বমানের সম্মান পাওয়ার পর ,  অনেক অবাঙালী বেক্তিই বরং  তাদের উল্টে অপমান করেছে ।
কেন করেছে ?  নিজেরা কিছু না পেয়ে হীনমন্যতায়  ভুগছে  - বাঙ্গালী প্রতিভাদের অপমান করেই  ওরা নিজদের নাম প্রচার করতে চায় ।  আজকাল আবার কিছু বাঙালিও দেখি তাদের সাথে তাল মেলায় ।  তাল আপনি মেলান - তবে ওই নোবেল , অস্কার বা চিকাগো ধর্মসভা  কিন্তু  বাঙালীর জন্যই । 

অনেকে বলেন যে " আসলে হিন্দীই তো সারা ভারতে  চলে " ।
যারা একথা বলেন তারা হয়তো পাগল হয়ে গেছে । 
সারা ভারত কি এতোটাই ছোট আর সস্তা হয়ে গেছে  নাকি ?
 Total  South India  "  No usage of  Hindi word  " - মানে অতি সহজ বাংলায় - "আমরা হিন্দী বলিনা, শুনিনা আর শুনতেও  চাইও না " । 
North Eastern India  তে আবার  Hindi তেমন ভালো চলেই না। "  As per statistic in North eastern India , generally most of the entertainment related T.V channels are either local , international English , or Korean /  China based T.V channel ."   -  কিছু   social scientist and researcher  technically একে বলেন    " cultural aggression by China "

 তবে  অনেকেই  যা ভেবেছিলো - দীপাবলীর বদলে , " দিওয়ালী মানিয়ে ",  দোলযাত্রা বা রঙ খেলার বদলে " হোলি  " খেলে , অথবা পাঁচালীর বদলে " হনুমান চালিশা " ঘরে এনে - বেশ   huge  effort দিয়ে  সন্তান কে সারা ভারতের উপযুক্ত করে তোলা যাবে - সেটা overall Global set up  অবধি তো  গেলোই না- বরং উল্টে পুরো যেন নৌকাডুবি হয়ে গেলো।
 তবে খুব একটা  ভয়ের কিছুই নেই । 
 কারন just 20 %  বাংলা , 20  %  English  আর 60 % Hindi language  নিয়ে আপনার সন্তান  একেবারে হারিয়ে যাবেনা । 
কারন . 
আসলে Second Language  এর নামে যেটা আপনাকে দেওয়া হয়েছে তার " All India based credibility"  বলে  তার যে কিছুই নেই আর কোনোদিনই তা  ছিলোও না । আজ কিন্তু আমরা অনেকেই জেনে গেছি হিন্দী আসলেই দেশের সংবিধান স্বীকৃত একটা ভাষা - বাংলা , ইংরাজী , তামিল বা পাঞ্জাবী ভাষার মতোই সমান ভাষা- রাষ্ট্র ভাষা নামে এদেশে কিছুই নেই -আছে রাষ্ট্র স্বীকৃত ভাষা  ।  আর তার ব্যাবহার সরকারী স্তরে নাগরিকের পছন্দ অনুসারে ,  আর নাগরিকের বেক্তিজীবনে কোন ভাষার ব্যাবহার  বাধ্যতামূলক নয়।
  Very technically বলতে গেলে কোন বিশেষ ভাষার প্রতিই  আমার   personal issue  বলে কিছুই নেই ।
নিজের প্রয়োজনে বা শখে বা আরো নানা কারনে   একটা মানুষ হাজারটা ভাষা শিখতেই পারেন। সেটা নিতান্তই তার একান্ত বেক্তিগত ব্যাপার। " Learning many languages , is really good choice to enjoy the life with ultimate connectivity " ..


 তাই  Student  নিজেই   Quality of the language - বিচার করে বেছে নিক as per own choice.
কোন Language  এ কি  কি কাজ হয়েছে, কারা সেই সব কাজ  করেছেন আর কিভাবে করেছেন এবং তাতে  মানুষের কি কি উপকার হয়েছে - সেই সব  কথাই   তাদের জানা দরকার।
আমাদের Next   Generation  কে যেন আমরা Uncultured , Half-educated with Full degree  না বানিয়ে তুলি - আর অসভ্যের মতো এটা ভাবতে না শেখাই যে , রবীন্দ্রনাথ বড়োলোকের প্রতিনিধি হিসাবে Nobel  পেয়েছেন- তারা বাস্তবটা জানুক যে , " 1913  তে Nobel  আগেই পরপর দুই বছর   "  গীতাঞ্জলী "  ছিলো best seller  এর তালিকায়।
তার নোবেল পাওয়ার পিছনে কোন দালাল শ্রেণী কাজ করেননি - কারন তার " নাইট উপাধি "- ত্যাগ করে লেখা প্রতিবাদপত্রটা এখনো বিশ্বের অন্যতম "  কঠোর পত্র "- হিসাবে গণ্য করা হয়।
রবীন্দ্রনাথের বিষয়ে সারা বিশ্বের অন্য মহাপুরুষরা কি কি বলেছেন সেটাও তো জানা দরকার (  search you tube )।
বাংলায় কথা বললে  prestige  থাকেনা ,  আর Hindi  বলেই খুব  standard level  এ যাওয়া যায় - এইসব কাল্পনিক  কথা ভাবার আগে একবার আমাদের সকলের  বিশ্বভারতী গিয়ে দেখে আসা খুব দরকার যে  whole world  র কতো   most  brilliant and talented  লোকজন  রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে  just  research  করেই থেমে নেই , তারা আলাদা করে রীতিমতো টাকা খরচ করে , পরিশ্রম করে  বাংলা ভাষা শিখছেই শুধু রবীন্দ্রনাথের লেখা তারা রবীন্দ্রনাথের বাংলা ভাষাতেই পড়বে বলে।
তবে শুধুই তো আর রবীন্দ্রনাথ নয় , বাংলা ভাষার হাজার রকম দিক আছে।
রবীন্দ্রনাথ নোবেল পান , সত্যজিত রায় আবার বিছানায় শুয়ে শুয়েই Oscar  নেন-   বিভুতিভূসণকে আবার  world literature  এর অন্যতম child psychology specialist  বলা হয়।
আর নারী স্বাধীনতা ?
এই বাংলায় বিদ্যাসাগর , রামমোহন এর মতো মানুষ না জন্মালে বা নিবেদিতার মতো কেউ না আসলে , মনে হয় বাকী ভারতের লোক আজও জানতোই না   " নারী স্বাধীনতা "   নামে কিছু আছে ।
তবে এটাও ঠিক জীবন শুধুই সাহিত্য আর  শিল্প  নিয়ে তো চলেনা- জীবনে বেঁচে থাকতে গেলে আরো অনেক কিছুই লাগে- তবে তার জন্য আর যাই হোক বাঙালীকে অন্তত  Hindi language  শিখতে হবেনা । কারন " গাছের প্রান আছে " এ  তো আর কেউ হিন্দী ভাষায় লেখেননি ।  জগদীশ চন্দ্র বোসের  বাংলা মাথা  আর তারপর সোজা বিলেতে- এর মাঝে হিন্দীর   কোন অবদান আছে বলে - নিজের কানে তো দূর ,  এমনকি কোন G.K  বইতেও কিছুই খুঁজে পাইনি আমি ।  আর Higher level  এর কোন বই  Hindi language  এ  লেখা হয় , এমন কথা কেউ কোথাও ভুল করে  শুনে থাকলেও আমায় জানাবেন ।
Language  হিসাবে হিন্দী হয়তো ভালই এবং সেটা শেখাটাও ভালো , তবে এটাও ভাবা দরকার   যে একটা  extra language শিখতে গিয়ে  আমার বা আমাদের  Next Generation  কোন  proper Judgement  না করেই যেন  কিছু   select না   করে বসে।( classification parameter কিন্তু  time to time change হতেই পারে ) ।

কারন বেশ কিছু নতুন শব্দ আমাদের জীবনে এসেছে আর আমাদের জীবনকেও বেশ দারুনভাবে বদলে দিয়েছে। যেমন ধরুন  Updated  ,  Achievement ,  Productivity  -আরো কতো নানা শব্দ - এগুলো প্রয়োগ করার জন্য একটাই তো জীবন আমাদের ।
তো প্রথমেই আসি  UPDATING -  really সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে আমরা বা আমাদের  Next Generation  যদি সময়মতো নিজেদের  updated করতেই না পারে , তো খুব  naturally তারা   backdated  হয়ে যাবে এবং তার পরিণতি যে খারাপ হবে- সে সকলেই জানে।
কিন্তু   updating অতি অন্যতম Condition হলো কোন  System , Person , Product যাই হোক -  সেটা accept করার আগে তার ,   overall productivity + popularity +  achievement   গুলো  judgement করে , নিজের  ability নিয়ে একটা  Basic judgement  এর  Concept   কে   parameter  করে ,  সেটা নিয়ে এগিয়ে চলা।

From that point , "  The overall purpose of  any  specific language ,  is not just only about number of  speakers only ,   but also the basic productivity, creativity and final achievement through that very particular  language are factors too.
 আমাদের  Next Generation  যদি হিন্দীকে "  just a Language "  হিসাবে  treat করে , so its no issue at all , rather it should be accepted with open mind .
কিন্তু তারা যদি ভুলেও ভাবে বাংলার বদলে হিন্দী শিখে তাদের , " basic life uplifted " হবে  সেটা হবে " biggest blunder of life "- কারন এদেশের মাত্র 40 % মতো লোক " Native Hindi speaker ".বাকী  60% লোক হিন্দী জানেনা বা জানার প্রয়োজনই মনে করেন না ।
 Linguistic productivity র আরো একটা  Parameter  use  করা যায় , - সেটা হলো সেই ভাষাতে কারা কারা , কি কি  কি ভাবে " Linguistic evolution "  আনতে পেরেছেন  এবং তার  " ultimate credibility " বলতে কি আছে ?
ভাষা হিসাবে হিন্দীতে তেমন কোন কাজ হয়নি , যা আন্তর্জাতিক স্তরে খুব সাড়া ফেলেছে ।

আমি তবুও বলবো আমার বা আমাদের  Next generation -  হিন্দী অবশ্যই  শিখুক একটা ভাষা হিসাবে ,  তারা দিওয়ালী মানাক বন্ধুদের সাথে , ধনতেরাসে সোনা - চান্দি খরিদ করুক -  exchanging of culture is exactly  a good practice . কিন্তু তারা যদি পরিবার আর পরিস্থিতি থেকে ভুলেও ভাবে " বাংলার বদলি ভাষা হলো  হিন্দী "- তাহলে হয়তো তাদের শীঘ্র - ই পতন ঘটবে, কারন এদেশের আর কোন একটা ভাষার থেকেই  রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ , নজরুল, - প্রফুল্ল চন্দ্র রায়, জগদীশ বোস, মেঘনাদ সাহা , সত্যেন বোস - বিদ্যাসাগর, বিবেকানন্দ, রামমোহন - সত্যজিত , অমর্ত্য , ঝুম্পা লাহিরী  - রা না এতোদিনে জন্মেছে আর না আশা আছে জন্মনোর।
কারন যার ৯ এ হয়না , তার ৯০ এও সাধারনত হয়না।
(  freedom fighter দের তালিকা দেওয়া হলোনা অন্যান্যদের সম্মানের জন্য )।
এটা গেলো শুধুই দেশের পরিস্থিতির ছবি- আর আমাদের next generation যদি বিদেশ নিয়ে ভাবতে চায় ?
না । তার জন্য কোন ভাবনাই নেই । আমাদের দেশের বহু বিশ্ববিদ্যালয়েই অগনিত বিদেশী ভাষা শেখার ব্যাবস্থা করেছে-  বিশ্বের most famous and top rated languages are available for us within very reasonable charges as per our Indian Economy.
কিন্তু এতসবের পরেও আমার বা আমাদের  next generation এর  language selection নিয়ে  চিন্তা থেকেই যায় ।
কারন ঃ
1 ) ধনতেরাস ,  হোলি ,  পাঞ্জাবী ভাংড়ার   নামে   চলতে থাকা  cultural aggression.
2)  All those glitter, are not gold এর মতো প্রবাদবাক্য।
3 ) আমরা  গুরুত্ব  বোঝার আগেই যদি আমাদের বাংলা ভাষা টা হারিয়ে যায় এবং সেটা নতুন করে শিখতে আমাদের আবার লন্ডন বা প্যারিসে যেতে হয় ? অথবা অনেক টাকা খরচ করে আবার যদি ফিরে আসতেই হয় " বন্ধ হয়ে যাওয়া বাংলা স্কুলের ঘরগুলোতে " ?

THANKS. 
S.V.O


























Post a Comment

0 Comments