গতিপথ

DESTINY IS NEVERLAND AND NEVERLAND IS DESTINY. 
PEN-PROLAY. 
INK- ANANYA.
S.V.O




                                            গতিপথ
এই  তো সেদিনও সন্ধ্যেবেলায় ,
দ্বীপ খানি হত জ্বালা ,
আর তার ই সাথে তাল মিলিয়ে ,
শংখ ধ্বনির পালা। 
বিকালবেলায় স্কুল থেকে ফিরে ,
সব মাঠ ঘাট চষা ,
সন্ধ্যেবেলায় পেট পুরে খেয়ে ,
আবারও পড়তে বসা। 
দুটি ভাই বোনে মিল ছিলো যতো ,
তার চেয়ে বেশি দ্বন্ধ ,
পড়তে বসেই লড়াই শুরু ,
ঝামেলা তো নয় মন্দ। 

শহরতলির ছোট্ট ঘরখানি ,
আটটি পায়ের চলা ,
হাজার হাজার কোলাহল মাঝে ,
নিজেদের কথা বলা। 

সন্ধ্যের পর ফিরলেই বাবা ,
চড়তো ভাতের হাড়ি ,
সেদিনের মত দু ভাই বোনের ,
লেখাপড়ার সাথে আড়ি। 

সংসারে যারা সঙ সাজেনা ,
বাঁচে নিজের মতো করে ,
রাজপ্রাসাদ ও হার মেনে যায় ,
তাদের কুটির দ্বারে। 

ক্ষমতা হয়ত ছিলনা বেশি ,
তবু ছিল তারা পূর্ণ ,
একশো যে হয় দশের পরে ,
লিখতে জানলে শূন্য । 

স্বচ্ছলতা মোটেই ছিলনা ,
ঘরে ছিলনা একটা ঘড়ি ,
কারখানার বাশি শুনে হতো ,
ঘুমের সাথে আড়ি। 

তবু পুজোর সময় পুরোনো কাপড় ,
আর স্কুলের মাইনে বাকি ,
এমনটা তো হতোনা কখনও ,
এসবে ছিলনা ফাকি। 

বাবা তাদের সাধারণ শ্রমিক ,
বেতন ও তো নয় বেশি ,
তবুও তো তারা ভালই ছিলো ,
শৈশব ভরা হাসি। 

মাঝে মাঝে ছুটি ছাটায় ,
একটু ঘুরতে যাওয়া ,
পথের মাঝে ইচ্ছামত ,
যা খুশি তাই খাওয়া। 

ইচ্ছা ছিল হবেই বড় ,
দেখবে সবাই চেয়ে ,
কষ্ট হলেও লড়বে তারা ,
উঠবেই সিড়ি বেয়ে। 

হটাত সেদিন কাজের শেষে ,
বাবা তো এলোনা বাড়ি ,
রোজ ই তো আসে সন্ধ্যেবেলায় ,
আজ তবে কেন দেরী ?

গভীর রাতে ক্লান্ত শ্রমিক ,
ফেরে নিজের ঘরে ,
বাচ্চা দুটো ঘুমের দেশে ,
খোলা মেঝের পরে। 

পরদিন থেকে বাবারও ছুটি ,
কারখানা নাকি বন্ধ ,
কারখানা বুঝি ইস্কুল হলো ,
ব্যাপারটা নয় মন্দ। 

বছর পাঁচেক পর.................................................................................................................................................................................................................................................................................................................................



স্কুলে পরা ছোট ভাইখানি ,
স্কুল থেকে এলো ফিরে ,
মাইনের খাতায় অনেকটা বাকি ,
যাবেনা সেখানে ফিরে। 

এরই সাথে তাল মিলিয়ে ,
বাবার হাঁপানি বাড়ে ,
ওসুধ তো আজ স্বপ্ন এদের ,
চাল টুকুও  নেই ঘরে। 

ঘরের ভাড়াও বাকির খাতায়  ,
আছে বেচে থাকার জ্বালা  ,
বাচতে গেলে পরতেও  হয় ,
কালো সুতোর মালা। 

বাপ ও  বাচবে , ভাইও পড়বে ,
সবাই থাকুক সুখে ,
নামলই বা আজকে নিজে ,
অন্ধকারের কূপে। 

সন্ধ্যে নামে , মেয়েটা নামে ,
দাড়ায় গলির মোড়ে ,
সেদিনের সেই ছোট্ট পরী ,
আজ আস্তাকুড়ে। 

অচেনা এক ভদ্রলোকের ,
গাড়িতে চড়ে এসে ,
মেয়েটি তখন ঘরে ঢোকে ,
বাপের  কারখানাটির পাশে।
                                  প্রলয় শংকর (এস -ভি-ও )


এবার পরুন- ঠিকানা 

Post a Comment

0 Comments