DESTINY IS NEVERLAND AND NEVERLAND IS DESTINY.
PEN-PROLAY.
PEN-PROLAY.
INK-ANANYA
S.V.O
.
অতীত -
" কতো দিন তো রাত হয়ে গেল ,
তবু আরো আছে বহু বাকী ,
অসীম অনন্ত প্রতীক্ষা আমার ,
জানি সে তো হবেনা ফাঁকি।
একান্তে বসে দূর থেকে দেখি তাকে ,
অনেকটা বুঝি আমারই মতো ,
নিজের পথেই নিজের চলা ,
মনের কথা মুখে সব বলা ।
কখনও ভাবি হতে পারে ভুল ,
কখনও বা ভাবি ঠিক,
আমিও তো এমনিই ছিলাম ,
নিজেও চিনতাম না দিক।
কতো অজনার আপন সে জন ,
তবুও নিজের কাছেই পর ,
আমিও তো ঠিক জানতাম না ,
কোথায় যে আমার ঘর !
মনে মনে ভাবি ডেকে নিই কাছে ,
বুকের মাঝে চেপে ধরে - দেখাই পাখীর ঝাঁক ,
আবার ভাবি , " দরকার কি "
দূরত্ব যদি রাখতেই হয় - আরো অনেকটা থাক।
আমায় তো সে পায়নি মোটেই ,
চেনাতেই পারিনি ফুল ,
চলার পথেই চলিনি আমিও ,
যা করেছি বেশ করেছি ,
আমি তো করিনি ভুল।
ব্যাস্ত তেমন ছিলাম না তো আমি ,
স্বপ্নও ছিলোনা তো বেশি,
সাধু সংগ তো করিনি আর ,
যে জানবো গ্রহ রাশি।
এতদিন তো স্বপ্নই দেখেছি ,
এখন নরম বুকের কাছে ,
এও বুঝি সেই শরীর আমার ,
যাকে চেয়ে ভালোবাসে।
বিশেষ কিছুই ছিলনা তেমন ,
মুখেও তো ছিলোনা কথা ,
তবুও তো আমার প্রাণে সেদিন ,
বাজেনি তো কোন ব্যাথা।
এভাবেই তো দিন কাটছিলো ,
থেমেও থাকেনি রাত ,
কোনকিছুতেই আটকে থাকা ,
ছিলোনা আমারও ধাত।
কেন যে তবু লাগছে ভালো ,
দেখিনি তো নিজের পানে ,
ইচ্ছা তো ছিলো ভরিয়ে দিতে ,
আমার অনিয়মের সুরেলা গানে।
গভীর রাতের আকাশ কালো।
একার রাতে নিজেরই মত ,
বুকে নিয়েছিলাম তাকে ,
অজান্তে যেন ঘুম ছুটে যায় ,
কোন সে অচেনা ডাকে।
একবার নয় বার বার ডাকে ,
থামে স্বপ্নের সেই গান ,
একলা পথে যেতে দেখি ,
সে এক জীবন মরণ টান।
ভালো করে নতুন চোখে ,
দেখি নিস্পাপ সেই মুখ ,
নিশ্চিন্ত ঘুমের মাঝেই ,
ছিলো অনিশ্চিতের সুখ।
বার বার শুনি নিশির সে ডাক ,
ভাবলাম ভাগ্যটাকেই দেখি ,
শেষে একাই বেরিয়ে আসি ,
একেবারে অজানা অচেনা বাঁক।
তারপর ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আঁধার রাতে আলোর সাথে ,
দ্বীপ খানি ওঠে জ্বলে ,
তাকে একাই রেখে আমি ,
এখন কোথায় এলাম চলে ?
ছোট্ট ঘরের অন্ধকারে ,
সে থাকলো একা পরে ,
শরীরে সে এ অসীম জ্বালা ,
আমি তখন নতুন দ্বারে।
বারে বারে যে ডেকেছিলো আমায় ,
এসেছিলো তা নিজের কানে ,
হাত দুটো যে বাঁধা ছিলো ,
দৃষ্টি তখন শূন্য পানে।
শেষবার তার ডাক শুনলাম ,
বুকের মাঝে ঝড় ,
এক নিমেষের ভুলে আমার ,
আমিত্ব থেকেই পর ?
অসীম জ্বালার শেষেও আবার ,
যাত্রা নতুন গানে ,
বিদায় গানের মাঝেও তো তার ,
ডাক শুনেছি নিজের কানে।
অন্ধভাবে আমায় খুজেও ,
পায়না তো সে আমার দেখা ,
একলা পথে ঘুরছি আজও ,
অন্যের থেকে বেশিই একা।
ছবি দেখে সে চেনে আমায় ,
আর ডাকেওনা তো মোরে ,
আমি কিন্তু আজও তেমনি ,
দাড়িয়ে থাকি দ্বারে।
প্রথম যেদিন সেজেগুজে ,
উঠলো স্কুলের বাসে ,
ইচ্ছা হলো ছুঁয়ে দেখি তাকে ,
থাকুক স্নেহের পাশে ।
আলতো করে যখন আমি ,
ধরতে গেলাম তাকে ,
নিমেষেই আবার হারিয়ে গেলাম ,
অন্ধকারের বাঁকে।
ঘুমের মাঝে আমায় ডাকে ,
ডাকগুলো আসে কানে ,
ইচ্ছা করে ভরিয়ে দিতে ,
আমার নিজের গানে।
দুই হাতে তাকে রাখতাম চেপে,
মুখ রাখতো বুকে ,
সেই মুখটাই ডুবে যায় দেখি ,
রঙিন নেশার পাঁকে।
একা একা চলতে গিয়ে ,
কতোবার যায় হারিয়ে ,
ইচ্ছা করে হাত দুটো শুধু ,
দিই না একটু বাড়িয়ে।
যতবারই ভাবি -ভেঙ্গে যায় বুক ,
মাঝে জীবন মরণ সাগর ,
নিয়তির ডাকে ভেঙ্গে গেছে কবে !
সেই সে ছোট্ট ঘর।
তবুও হাজার কোটি ভুলের পরেও ,
সে তো নয় তবু একা ,
সকল পথের শেষেই আমি ,
তাকেই তো দেবো দেখা " :
বর্তমান
" বহুযুগ আগে ছেড়ে এসেছিলে ,
তারপরে আর হয়নি দেখা ,
কোনদিন তবু খোজ পাইনি ,
আমিও কিন্তু ছিলাম একা ।
দূর থেকেই শুধু চিনেছি তোমায় ,
অস্পস্টতা ভরা গড়ন ,
হাজার ভিড়ের মাঝেও ছিল ,
নির্জনতা ভরা মন ।
তখনও তো আমি ছিলাম শিশু ,
তুমি ছিলে একুশের নারী ,
বড্ড যেন তাড়াতাড়ি হলো ,
তোমার আমার আড়ি।
তারপরে তুমি কোন সে সূদুর ,
একলা আমি নেশার ঘোরে ,
মদের ফোটায় ঝরেছ কতো ,
একটু আমায় ছোয়ার ত্বরে !
তোমায় খুজেছি জনারণ্যে ,
হয়েছি পথের চাকা ,
স্বপ্ন মাখা রাতের শেষে ,
আমি আমার মাঝেই একা ।
বেশ্যার মাঝেও খুজেছি কতো ,\
কখনও পেয়েছিও বা কাছে ,
অল্পেই তুমি আলেয়া হয়েছো ,
যদি কাছে থেকে যাই পাছে ।
প্রেমিকা হয়ে এসেছো কাছে ,
রেখেছো কপালে মুখ ,
ভোরের আলোয় একাত্ম আমি ,
হারিয়ে ফেলেছি সুখ ।
সব খোঁজা তবু শেষ তো হয়না ,
এসে অসীমেরও পারে ,
যদিও তখন নিঃশেষ বুঝি ,
শান্ত নদীর ধারে।
ক্লান্তি বিহীন , শ্রান্তি বিহীন ,
জীবনের যতো গান ,
ওপারেতে আবেগ হাসে ,
এপারে সবই ম্লান ।
জীবন মৃত্যুর দ্বিধা থাকে কিছু ,
থাকতেই পারে ভুল ,
সব ভুলের শেষেই তো থাকে ,
চির শান্তির ফুল।
চিরকালের প্রেমে বাঁধা ,
সে অদ্ভুত এক মায়া ,
তারই মাঝে নতুন জীবন ,
অমৃতের ই কায়া।
অস্তমিত সুর্য্য সাথে ,
জীবন অস্তাচলে ,
কোন সে এক মায়ার মাঝে ,
বাঁধা থাকি প্রতি পলে।
অশান্ত এক দুর্দান্ত জীবন ,
যুগ যুগান্ত পরে ,
তোমার সাথেই দেখা শেষে ,
সেই সে ছোট্ট ঘরে ।
PEN- PROLAY.
INK- ANANYA.
PIC- BAPI KUNDU.
এবার পরুন- গতিপথ
অনেকটা বুঝি আমারই মতো ,
নিজের পথেই নিজের চলা ,
মনের কথা মুখে সব বলা ।
কখনও ভাবি হতে পারে ভুল ,
কখনও বা ভাবি ঠিক,
আমিও তো এমনিই ছিলাম ,
নিজেও চিনতাম না দিক।
কতো অজনার আপন সে জন ,
তবুও নিজের কাছেই পর ,
আমিও তো ঠিক জানতাম না ,
কোথায় যে আমার ঘর !
মনে মনে ভাবি ডেকে নিই কাছে ,
বুকের মাঝে চেপে ধরে - দেখাই পাখীর ঝাঁক ,
আবার ভাবি , " দরকার কি "
দূরত্ব যদি রাখতেই হয় - আরো অনেকটা থাক।
আমায় তো সে পায়নি মোটেই ,
চেনাতেই পারিনি ফুল ,
চলার পথেই চলিনি আমিও ,
যা করেছি বেশ করেছি ,
আমি তো করিনি ভুল।
ব্যাস্ত তেমন ছিলাম না তো আমি ,
স্বপ্নও ছিলোনা তো বেশি,
সাধু সংগ তো করিনি আর ,
যে জানবো গ্রহ রাশি।
এতদিন তো স্বপ্নই দেখেছি ,
এখন নরম বুকের কাছে ,
এও বুঝি সেই শরীর আমার ,
যাকে চেয়ে ভালোবাসে।
বিশেষ কিছুই ছিলনা তেমন ,
মুখেও তো ছিলোনা কথা ,
তবুও তো আমার প্রাণে সেদিন ,
বাজেনি তো কোন ব্যাথা।
এভাবেই তো দিন কাটছিলো ,
থেমেও থাকেনি রাত ,
কোনকিছুতেই আটকে থাকা ,
ছিলোনা আমারও ধাত।
কেন যে তবু লাগছে ভালো ,
দেখিনি তো নিজের পানে ,
ইচ্ছা তো ছিলো ভরিয়ে দিতে ,
আমার অনিয়মের সুরেলা গানে।
গভীর রাতের আকাশ কালো।
একার রাতে নিজেরই মত ,
বুকে নিয়েছিলাম তাকে ,
অজান্তে যেন ঘুম ছুটে যায় ,
কোন সে অচেনা ডাকে।
একবার নয় বার বার ডাকে ,
থামে স্বপ্নের সেই গান ,
একলা পথে যেতে দেখি ,
সে এক জীবন মরণ টান।
ভালো করে নতুন চোখে ,
দেখি নিস্পাপ সেই মুখ ,
নিশ্চিন্ত ঘুমের মাঝেই ,
ছিলো অনিশ্চিতের সুখ।
বার বার শুনি নিশির সে ডাক ,
ভাবলাম ভাগ্যটাকেই দেখি ,
শেষে একাই বেরিয়ে আসি ,
একেবারে অজানা অচেনা বাঁক।
তারপর ,,,,,,,,,,,,,,,,,,,
আঁধার রাতে আলোর সাথে ,
দ্বীপ খানি ওঠে জ্বলে ,
তাকে একাই রেখে আমি ,
এখন কোথায় এলাম চলে ?
ছোট্ট ঘরের অন্ধকারে ,
সে থাকলো একা পরে ,
শরীরে সে এ অসীম জ্বালা ,
আমি তখন নতুন দ্বারে।
বারে বারে যে ডেকেছিলো আমায় ,
এসেছিলো তা নিজের কানে ,
হাত দুটো যে বাঁধা ছিলো ,
দৃষ্টি তখন শূন্য পানে।
শেষবার তার ডাক শুনলাম ,
বুকের মাঝে ঝড় ,
এক নিমেষের ভুলে আমার ,
আমিত্ব থেকেই পর ?
অসীম জ্বালার শেষেও আবার ,
যাত্রা নতুন গানে ,
বিদায় গানের মাঝেও তো তার ,
ডাক শুনেছি নিজের কানে।
অন্ধভাবে আমায় খুজেও ,
পায়না তো সে আমার দেখা ,
একলা পথে ঘুরছি আজও ,
অন্যের থেকে বেশিই একা।
ছবি দেখে সে চেনে আমায় ,
আর ডাকেওনা তো মোরে ,
আমি কিন্তু আজও তেমনি ,
দাড়িয়ে থাকি দ্বারে।
প্রথম যেদিন সেজেগুজে ,
উঠলো স্কুলের বাসে ,
ইচ্ছা হলো ছুঁয়ে দেখি তাকে ,
থাকুক স্নেহের পাশে ।
আলতো করে যখন আমি ,
ধরতে গেলাম তাকে ,
নিমেষেই আবার হারিয়ে গেলাম ,
অন্ধকারের বাঁকে।
ঘুমের মাঝে আমায় ডাকে ,
ডাকগুলো আসে কানে ,
ইচ্ছা করে ভরিয়ে দিতে ,
আমার নিজের গানে।
দুই হাতে তাকে রাখতাম চেপে,
মুখ রাখতো বুকে ,
সেই মুখটাই ডুবে যায় দেখি ,
রঙিন নেশার পাঁকে।
একা একা চলতে গিয়ে ,
কতোবার যায় হারিয়ে ,
ইচ্ছা করে হাত দুটো শুধু ,
দিই না একটু বাড়িয়ে।
যতবারই ভাবি -ভেঙ্গে যায় বুক ,
মাঝে জীবন মরণ সাগর ,
নিয়তির ডাকে ভেঙ্গে গেছে কবে !
সেই সে ছোট্ট ঘর।
তবুও হাজার কোটি ভুলের পরেও ,
সে তো নয় তবু একা ,
সকল পথের শেষেই আমি ,
তাকেই তো দেবো দেখা " :
বর্তমান
" বহুযুগ আগে ছেড়ে এসেছিলে ,
তারপরে আর হয়নি দেখা ,
কোনদিন তবু খোজ পাইনি ,
আমিও কিন্তু ছিলাম একা ।
দূর থেকেই শুধু চিনেছি তোমায় ,
অস্পস্টতা ভরা গড়ন ,
হাজার ভিড়ের মাঝেও ছিল ,
নির্জনতা ভরা মন ।
তখনও তো আমি ছিলাম শিশু ,
তুমি ছিলে একুশের নারী ,
বড্ড যেন তাড়াতাড়ি হলো ,
তোমার আমার আড়ি।
তারপরে তুমি কোন সে সূদুর ,
একলা আমি নেশার ঘোরে ,
মদের ফোটায় ঝরেছ কতো ,
একটু আমায় ছোয়ার ত্বরে !
তোমায় খুজেছি জনারণ্যে ,
হয়েছি পথের চাকা ,
স্বপ্ন মাখা রাতের শেষে ,
আমি আমার মাঝেই একা ।
বেশ্যার মাঝেও খুজেছি কতো ,\
কখনও পেয়েছিও বা কাছে ,
অল্পেই তুমি আলেয়া হয়েছো ,
যদি কাছে থেকে যাই পাছে ।
প্রেমিকা হয়ে এসেছো কাছে ,
রেখেছো কপালে মুখ ,
ভোরের আলোয় একাত্ম আমি ,
হারিয়ে ফেলেছি সুখ ।
সব খোঁজা তবু শেষ তো হয়না ,
এসে অসীমেরও পারে ,
যদিও তখন নিঃশেষ বুঝি ,
শান্ত নদীর ধারে।
ক্লান্তি বিহীন , শ্রান্তি বিহীন ,
জীবনের যতো গান ,
ওপারেতে আবেগ হাসে ,
এপারে সবই ম্লান ।
জীবন মৃত্যুর দ্বিধা থাকে কিছু ,
থাকতেই পারে ভুল ,
সব ভুলের শেষেই তো থাকে ,
চির শান্তির ফুল।
চিরকালের প্রেমে বাঁধা ,
সে অদ্ভুত এক মায়া ,
তারই মাঝে নতুন জীবন ,
অমৃতের ই কায়া।
অস্তমিত সুর্য্য সাথে ,
জীবন অস্তাচলে ,
কোন সে এক মায়ার মাঝে ,
বাঁধা থাকি প্রতি পলে।
অশান্ত এক দুর্দান্ত জীবন ,
যুগ যুগান্ত পরে ,
তোমার সাথেই দেখা শেষে ,
সেই সে ছোট্ট ঘরে ।
PEN- PROLAY.
INK- ANANYA.
PIC- BAPI KUNDU.
এবার পরুন- গতিপথ
0 Comments