DESTINY IS NEVERLAND AND NEVERLAND IS DESTINY.
PEN-PROLAY.
INK-ANANYA.
যাত্রী
সেই কোন সকাল থেকেই মাথার উপর সূর্য টা একদৃষ্টে যেন তাকিয়ে আছে তো আছেই। হাজার হাজার বছরের শান্ত , ক্রর , পলকহীন চাহনি । যেন কোনো মৃত্যুপথযাত্রীর স্থির আবেগহীন , অনুভুতিহীন অসীম শুন্যতা মাখা দৃষ্টি । সে দৃষ্টিতে হতে পারে গতি নেই, চঞ্চলতাও নেই , কিন্তু যা কিছু আছে তা যেন অসীম অযান্ত্রিক যন্ত্রণা । আজ মনে হয় কোথাও যেন একটুও ছায়াও থাকতে নেই।
একটা মাত্র ফোন । তারপর থেকেই নতুন এক জীবন । যে জীবন স্বপ্নের , যে জীবন আশার , যে জীবনে মরতে মরতেও মরতে নেই - এ সেই জীবনের ডাক । কাল সন্ধের থেকে সেভাবে কিছুই খাওয়া হয়নি, সারাটা রাত জেগেই কেটেছে। খাওয়া দাওয়া নিয়ে আমার কোনো কালে সেভাবে বিশেষ চাহিদা ছিলো - একথা আমার পরিচিত কেউই বলবে না । আর রাতের পর রাত জেগে কাটানো টাও খুব একটা নতুন কিছুনা। নিজেকে মাঝে মাঝে মনে হয় নিশাচর ।
নিশাচর প্যাঁচার মতো জেগে থাকি জীবনের সামান্য রসদের আশায় । আমার চোখের সামনে আকাশের চাঁদ কখনো মুখ দেখায় আবার মাঝে মাঝেই অমাবশ্যার নামে কোথায় চলে যায় ! আমার খুব কিছুই যায় আসেনা । আমি একা থাকি আমার রসদের আশায় ।
আজ সেই রসদ এসেছে- বহু প্রতীক্ষার ফল । আরো আগেই আসতে পারতো , কিন্তু কোন কারনে হয়তো দেরীতে এলো । এই অসময়ের আসাটাই আসল আশা , যার জন্য বেঁচে থাকা ।
যদি মানুষের জীবনের সব দিন আর সব ঘটনা সব সময়েই একই ভাবে চলতো , তাহলে জীবনের অর্ধ্যেকটাই মাটি হয়ে যেত আর তাহলে আজ হয়ত এই ক্ষণে এই ট্রেনটায় আমি আর তৃষ্ণা এভাবে থাকতামই না।
দুপরের ট্রেন , প্রায় ফাকাই আছে। অনেক সময় পরে তৃষ্ণার মুখের দিকে তাকালাম। আমার কাধে মাথা টা রেখে চুপ্ হয়ে চোখ দুটি বুজে আছে। ওর বুজে থাকা চোখেও আমার চোখ দেখছে ওর পরম ভরসা । একটা গভীর প্রশান্তির ছাপ । ওর কপালের কোনাতে এখনো মারের কালসিটে দাগ। আমি জানি ও ঘুমায়নি। চোখ বুজে ট্রেনের আওয়াজের সাথে তাল মিলিয়ে কিছু একটা সে মনে মনে অনুভব করছে । হাওয়ায় ওর খোলা চুলগুলো উড়ে এসে আমার মুখের ওপর ঝাপটা মারছে।
আমি ওর কপালের সিঁদুরের দিকে একমনে তাকিয়ে ভাবছিলাম কি অপার ক্ষমতার অধিকারী অথচ কতই না আপেক্ষিক এই সামান্য সিঁদুর !
মাংসের দোকান , সব্জির গুদাম আর মেছো বাজারের পাশের দোকানের সামান্য কিছু পরিমান লাল রং ছাড়া এ আর তো কিছুই না। অথচ এরই কি এক অপার্থিব শক্তির বলে তৃষ্ণার মত মেয়েও দিনের পর দিন , রাতের পর রাত তার স্বামীর কাছে নিজেকে বাঁধা রেখেছে , নিজের সর্ব্যস্য দিয়েও রক্ষ্যা করতে চেয়েছিল এই সিঁদুরের মর্যাদা। দু -চার দানা সামান্য রং এর গুড়ো - দাসত্বের চরম প্রতীক ছাড়া আর কি ?
আমি মনে মনে ভাবি এই যে দিনের পর দিন নিজেকে নিজেকে একটু একটু করে শেষের পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া , শেষের পথে যাওয়ার বেলায় বুকের গভীর কোনে সযত্নে লালিত স্বপ্ন গুলোকে তিল তিল করে মেরে ফেলা , প্রতিটি মুহুর্তে একটা অসম্ভব কে মেনে নিয়ে একটা নতুন সম্ভাবনা তৈরির যে অনলস অদম্য চেষ্টা - সেকি শুধুই এই সিদুরের মর্যাদা রাখার প্রতিজ্ঞা ? শুধুই কি অবাস্তব নিয়ম আর যান্ত্রিক সামাজিকতা ? নাকি চিন্তার মৃত্যু ?
কোথাও কি এই মেয়ের মূল্যবোধ, মানবিকতার লেশমাত্রও ছিলোনা ? যদি নাই থাকে তবে তো তৃষ্ণা মানুষই না..... যে সমাজ , যে পরিবার , যে সঙ্গীর কাছে সে মানুষ ই না , তারাই যদি তার সমগ্র জীবন টাকে নিয়মের বেড়াজালে বাধতে চায় , সেকি অপরাধ নয় ? সেটা যদি সংসার হয় , তো দাসত্ব কি ?
একজন বিবাহিতা নারীর অনেক অনেক উর্ধে উঠে নিজের জীবনের সব স্বপ্নকে চুর্ন করেও , সকল অত্যাচার সহ্য করেও শেষ পর্যন্ত টিকে থাকার যে লড়াই তার যাবতীয় শক্তির ঠিকানা ওই সামান্য কযেক দানা সিদুরের মধ্যে থাকতে পারে বলে এ আমি কোনদিন ই বিশ্বাস করার লোক নই। একটা রক্ত মাংসের মানুষের যাবতীয় সুখ অসুখ , চাওয়া পাওয়া - সবকিছুই যদি শুধুই সামাজিকতা দিয়ে মাপতে হয় , তবে আর মানবিকতার মাপকাঠি কি ?
আর সমাজ ?
সে তো আফ্রিকার জঙ্গলের হিংস্র নেকড়ের মধ্যেও আছে । জোর যার , অধিকার তার । সেখানে গায়ের জোরের নিয়ম চলে , আর দিকভ্রান্ত মানুষের জন্য উদভ্রান্ত নিয়ম চলে । নাম তার সামাজিকতা । নিজের একটা পছন্দের জীবনের জন্য যদি এই সামাজিক প্রথা ভাঙ্গা মানেই মানেই অসামাজিকতা হয়, নিজের সামান্য প্রাপ্য টুকু আদায় করতে গিয়ে কোনো অসামান্য কাজ নাই করতে হয় , যদি শৃংখলার ভাঙ্গন মানেই বিশৃঙ্খলা হয় - তবে কোটি কোটি বছরের এই যে মানবজাতি - তার ভিত্তি কি? সে তো নিজের যাবতীয় প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে গিয়ে প্রকৃতির নিয়ম ভেঙেই আজ জগৎ শ্রেষ্ঠ।
কোটি কোটি বছরের এই যে দীর্ঘ প্রাচীন প্রবণতা - আমি বা তৃষ্ণা কি তার বাইরে ? কত হাজার হাজার বছর ধরে কত জানা অজানা কত পণ্ডিত তাদের নিজেদের মত করে বেঁচে থাকার পথ বলে গিয়েছেন আদি কাল থেকে - কেউ কি তাদের বলেছিলো জীবনের সব নিয়ম বলে দিতে ?
আর যেই বলুক , আমরা তো কিছু বলিনি । চায়নি আমরা কারো কাছে কিছুই - না অর্থ না স্বীকৃতি , না নিয়ম না রীতি । আজ যদি দুটো সামান্য মানুষ যাদের হয়ত কোনো অসামান্যটাই নেই , আকাশের উল্কাপাতের থেকেও দ্রুততর হয়ত মিলিয়ে যাবে অজানাতে , যাদের ক্ষুদ্রতা , সীমাবধ্যতা হয়তো হার মানতে পারে কোনো সামান্য কীটের কাছেও - তাদের নিজেদের মত করে একটু ক্ষুদ্র, ক্ষনস্থয়ী জীবন কাটানোর স্বপ্নে যদি এই সমাজ তার নৈতিকতা এত সহজেই হারিয়ে ফেলে তবে মানতেই হবে , তার অসাড়তা । আমরা তাকে চিৎকার করে বিদ্রুপ করবো - হে সমাজ তুমি মৃত । তোমার ভ্রান্তিভরা স্থবিরতা আজ আমাদের পথের রসিকতা । যদি তোমার ওই তন্ত্র মন্ত্র , শাঁখা সিঁদুরের বিন্দুমাত্র শক্তি থাকতো , তবে তুমি তৃষ্ণা কে আজ কোনমতেই আমার মত প্রেমিকের কাধে মাথা রেখে নিশ্চিন্তে ঘুমাতে দিতেনা ।
'সামনে কোন স্টেশন ?' তৃষ্ণার কথায় হুশ ফেরে। মাথাটা আমার কাধ থেকে নেমে বুকের কাছে নেমে আছে। জানিনা যে বলে ওর আধখোলা চোখের দিকে তাকিয়ে হেসে ফেলি। সেও পাল্টা হাসে। নেশাগ্রস্থ এই নীরব হাসি। ব্যথা নেই , যন্ত্রণা নেই , প্রাপ্তি নেই , ক্ষতি নেই , আকাঙ্খাও নেই , অনুতাপ ও নেই। কিন্তু কিছু একটা আছে , যার কোন ব্যাখ্যা নেই ।
স্কুলে পরার সময় দর্শনের মাস্টারমশায় একদিন ক্লাসে বলেছিলেন মানুষের এই নশ্বর জীবন যখন কানায় কানায় শুধু নেই আর নেই তে ভরে যায় , তখনি শুরু হয় এই অবিনশ্বর জীবনের পূর্ণতা প্রাপ্তি । জীবনের মাপকাঠি তার প্রাপ্তি তে নয় , যদি তা কোথাও থেকে থাকে সে তবে তার ব্যাপ্তিতে।
আমাদের দুজনের জীবন আজ ঠিক কোথায় আমাদের নিয়ে চলেছে , কি তার রূপ বা মহিমা , কি তার সাফল্য আর ব্যর্থতা- এসব নিয়ে ভাবার মত সময় বা মানসিকতা কোনটাই ছিলনা।
শুধু এটুকু জানি যে , " না আজ পরস্পরের কাছে না কোন নিয়মের কাছে ---- আর আমাদের নতুন করে চাওয়ার কিছুই নেই। সকল স্বপ্নের শুরু নয় --- শেষ ও নয়. এ তো মুক্তি নয় , নির্বাণ বা সমাধিও নয় , পুর্ণতাও নয় -- তবে এ কি যা দিনের পর দিন যা দুজনে জ্ঞানে অজ্ঞানে চেয়ে এসেছি। এই কি সেই জীবন যেখানে স্বপ্নের জন্ম হয় ? "
আমাদের দুজনের জীবন আজ ঠিক কোথায় আমাদের নিয়ে চলেছে , কি তার রূপ বা মহিমা , কি তার সাফল্য আর ব্যর্থতা- এসব নিয়ে ভাবার মত সময় বা মানসিকতা কোনটাই ছিলনা।
শুধু এটুকু জানি যে , " না আজ পরস্পরের কাছে না কোন নিয়মের কাছে ---- আর আমাদের নতুন করে চাওয়ার কিছুই নেই। সকল স্বপ্নের শুরু নয় --- শেষ ও নয়. এ তো মুক্তি নয় , নির্বাণ বা সমাধিও নয় , পুর্ণতাও নয় -- তবে এ কি যা দিনের পর দিন যা দুজনে জ্ঞানে অজ্ঞানে চেয়ে এসেছি। এই কি সেই জীবন যেখানে স্বপ্নের জন্ম হয় ? "
বাম হাত দিয়ে ওর কপালের উপর চুল গুলো আলতো করে সরিয়ে দি আর ডান হাতে ওর কাঁধে হাত রেখে আর একটু কাছে টেনে নিই আলতো করে। জানো যেখানে আমরা যাচ্ছি পৌছাতে এখনো বেশ দেরী, হয়ত কিছু অসুবিধাও হবে প্রথম প্রথম, তবে আমি খুব তাড়াতাড়ি ভালো বাড়ি ভাড়া নিয়ে নেবো তোমার পছন্দমতো। ও সেই প্রথম দিনের মত দুই ঠোটের মাঝে ছোট্ট একফালি হাসির অর্ধেক লুকিয়ে রেখে বলে ' সেখানেও আলাদাই থাকব বুঝি আমরা '? না না তা কেন ? তবে আর বেচে থেকেই বা লাভ কি ? আলাদা থাকব বলে বুঝি এভাবে যাওয়া ? ও মিথ্যা রাগের ভান করে --' তবে আর আমায় ফালতু অসুবিধার কথা বোলে মিথ্যা ভয় দেখানো কেন ?"
আজ বহুদিন পর নিজেকে হয়ত আবার চেনার পালা। মাঝের এই সাত টা বছর আমার জীবনে হয়তো সব ছিল , আবার হয়তো বা কিছুই ছিলনা। কিন্তু সমস্ত পাওয়া না পাওয়া, শান্তি আর যন্ত্রণা -সবকিছু যাকে ঘিরে ক্রমাগত আবর্তিত হয়েছে , সে এখন আমার হয়ে আমার কাছেই রয়েছে।
ট্রেন তা একটু ধীর হতে থাকে । জানলা দিয়ে চেয়ে দেখি একটা স্টেশনে ঢুকছে। এ লাইনে অনেক আগে যখন দু একবার গিয়েছিলাম সে বহুকাল আগের কথা। দীর্ঘ এই সময়ের ব্যবধানে অগনিত পরিবর্তন। স্টেশনের নাম জানিনা। বেশ ছোট্ট। তবে কিছু খাবারের দোকান ও আছে আর চায়ের দোকান ও আছে। তুমি একটু বসো। আমি কিছু খাবার নিয়ে আসি। মনে মনে ইচ্ছা ওর জন্যে কিছু খাবারের সাথে দু-কাপ চা নেব আর এক প্যাকেট সিগারেট্ ও নিয়ে নেবো। ও যতো বলে কিছু লাগবেনা , কে শোনে কার কথা। আরে ধুররররর চুপ চাপ থাকো। আমি যথারীতি নেমে গেলাম।
আগে যা ভেবেছিলাম তেমন নয়। চা , সিগারেট পাওয়া যাবে কিন্তু খাবার বলতে কিছু বিস্কুট আর পাওরুটি - তাও দেখে মনে হলো বাসী। একটা সিগারেট আরামে টানতে টানতে পাতলা জলের মত চায়ে চুমুক দি। কিছু বিস্কুট ওকে গুছিয়ে দিতে বলে একটা একশ টাকার নোট দিতেই সেই এক গান ' বাবু ভাঙানি নেই ' .--- বিরক্তির একশেষ। যা ভাঙিয়ে নিয়ে আয়। এই ভাই জলদি যা। চা খেয়ে আর এই সব বক বক করে কতটা সময় গেছে খেয়াল করতে পারিনি। হট করে ট্রেন এর হর্ন শুনি । ট্রেনটা আস্তে আস্তে এগোতে থাকে । ট্রেনটা বেশ এগিয়েছে । সামনে তাকিয়ে দেখি সে দোকানী সে একশো টাকার নোট ভাঙ্গাতে কোথায় চলে গেছে। যাহ বাবা।
গুলি মারি তোর খুচরো - শয়তানের বাচ্চা- খুচরো নিয়ে তুই মরে যা - কিন্তু আমার খাবার গুলো তো সামনে রাখবি । তাহলে তো ঝামেলা থাকতোনা ।
কি হলো উঠে এসো। জানলায় তৃষ্ণা চেঁচাচ্ছে ।
কি যে করি ভাবার আগেই দেখি দোকানের ছেলেটা ছুটে এসে আমার আগে টাকা ধরিয়ে দিল। জীবনে এর আগে বহুবার চলন্ত ট্রেনে উঠেছি। নতুন কিছুই নয় । ছেলেটা ঝড়ের মতো আমার হাতে বিস্কুটের প্যাকেট গুলো ধরিয়ে দিতেই আমিও যেন স্কুলের মাঠে ফুটবল খেলা শুরু করলাম । আর কযেক পা দিলেই ট্রেন তা ধরতে পারব। এদিকে তৃস্নাও গেটে এসে পাগলের মত করছে। আমি হাত বাড়িয়ে গেটের হাতল ধরবো । সামান্য দু এক পা এগিয়ে শুধু একটা হাল্কা লাফ ।
কিন্তু সবকিছু সামনে থেকে যেন পুরো উল্টে গেল। সামলাতে পারলাম না - কিসে যে ধাক্কা খেলাম । মাথাটা নিয়ে পড়লাম । তৃষ্ণা , ট্রেন - সকলেই এগিয়ে চলছে । সবকিছু ঝাপসা। সামনে দিয়ে প্রকান্ড একটা দানব যেন খুব দ্রুত সরে গেল। আমি ভাসতে ভাসতে নিচে নামছি। অতল অপার অন্ধকার। কোনো কষ্ট নেই , বাধা নেই, যন্ত্রণা নেই। সময় অসীম। অনেক অনেক পরে আস্তে আস্তে খুব ক্ষীন অথচ তীব্র আলোর রেখা দেখছি । কি অসহ্য অথচ অপার আলো। চোখ জ্বলে যায় । এতো তীব্র আলো আগে কখনো দেখিনি। চোখের সামনে সব ঝাপসা। যেন অনেক অনেক মানুসের মুখ। তাদের চিনি কিনা জানিনা , আগে দেখেছি কিনা জানিনা , কারা এরা ? সময় বুঝি এখানে অসীম। মৃদু শব্দ কানে আসে। কিসের তা জানিনা। কতো পরে জানিনা। আগের থেকে অনেক স্পষ্ট দৃষ্টিপথ। মৃদু শব্দ গুলো তীব্রতর হচ্ছে। আমার সারা দেহে কোনো ব্যথা নেই , যন্ত্রণা নেই। নিজের ভিতর নিজেকে একটু একটু করে ফিরে পাচ্ছি। কিছু কিছু স্মৃতি খুব অল্প সময়ের জন্যে যেন ফিরে আসছে। আমি , তৃষ্ণা , একটা ট্রেন , সিগারেটের প্যাকেট । আবার হারিয়ে যাচ্ছি। সে কত সময় পর জানিনা , একটু একটু যেন চোখে ভাসছে। আমি দৌড়াচ্ছিলাম , সামনে এক হাতের নাগালেই তৃষ্ণা। কিন্তু পা যেন কিসে বাধলো, তারপর বেসামাল । নিমেষেই সব উল্টে পাল্টে একাকার হয়ে গেল।
আমি কষ্টে কোনমতে তৃষ্ণা কে ডাকলাম। সে নেই এখন । কিছুই নেই । তবু প্রানপনে কোনমতে ডেকেই চলি। আবার যেন একটা তীব্র ধাক্কা লাগে। চোখ খুলে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দেখি আমার বাধ্যবাধকতার বিরক্তিকর সামাজিক স্ত্রী ধাক্কা মারছে। আরে কি হলো কি ? অত ছটফট করছো কেন ?
আমি কিছুনা বলে পাশ ফিরে শুই.
আমি কষ্টে কোনমতে তৃষ্ণা কে ডাকলাম। সে নেই এখন । কিছুই নেই । তবু প্রানপনে কোনমতে ডেকেই চলি। আবার যেন একটা তীব্র ধাক্কা লাগে। চোখ খুলে ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে দেখি আমার বাধ্যবাধকতার বিরক্তিকর সামাজিক স্ত্রী ধাক্কা মারছে। আরে কি হলো কি ? অত ছটফট করছো কেন ?
আমি কিছুনা বলে পাশ ফিরে শুই.
তৃষ্ণার পরে এই জঘন্য মুখ দেখাও পাপ । .
স্বপ্ন থেকে বাস্তবে এসেও ভালো লাগে । .যাক মৃদু সে সময় সুযোগ মত দেখা দিয়ে যায় তাহলে ..................।
THANKS.
S.V.O
NEXT
স্বপ্ন থেকে বাস্তবে এসেও ভালো লাগে । .যাক মৃদু সে সময় সুযোগ মত দেখা দিয়ে যায় তাহলে ..................।
THANKS.
S.V.O
NEXT
1 Comments
https://youtu.be/-5l75eCe7ys
Ph 9073164828