প্যাঁচা দা -১

DESTINY IS NEVERLAND OR NEVERLAND IS DESTINY.।
 PEN- PROLAY.
 INK- ANANYA.
 CON= +91-9732803838..
 S.V.O


জগতের সবকিছুকেই যারা নিজের  চেনা পথে বিচার করে , যাদের নিজের  পূঁজি বলতে স্কুলে বা কলেজে  অন্যের আবিস্কার করা কিছু সূত্র বা কোন মহাপুরুষের জীবনী মুখস্থ করে নাম্বার জমানো  , তারপর অনেক কিন্তু বাঁধা মাইনের চাকরি করা  ,  তারপর বাপ মায়ের ঠিক করা পাত্র বা পাত্রীকে কে বিয়ে করা , খুব হিসেব কষে টাকা জমিয়ে বাচ্চার জন্ম দেওয়া আর সেই বাচ্চাকে বড়ো করতে গিয়ে নিজেরা বুড়িয়ে  হয়ে যাওয়া -   সোজা কথায়  এই কাহিনী  কিন্তু সেইসব লোকের  জন্য নয় ।

সরকারের  খাতা কলমে  পাতিপুর নিতান্ত  একটা গ্রাম , যে কিনা আস্তে আস্তে শহরের মতো হয়ে উঠছে  ।  যুগের সাথে তাল মিলিয়ে  গ্রামে স্কুল হয়েছে , পঞ্চায়েতের অফিস আছে ,  ছেলে মেয়েরা লেখাপড়া করছে , চাকরী করছে , পাকা বাড়ী অনেক আছে - কেউ কেউ আরব দেশে কাজ করে , আবার কেউ ব্যাবসা , চাকরি করেন । আর যারা কিছুই করতে পারেননা তারা নানারকম  দালালি  করেন । 

 এ অঞ্চলের মাঠের  ফসল বা পুকুরের মাছ - তার একটা অংশ যায় ভাঙ্গাচোরা বড়ো  বাড়িতে থাকা পঞ্চানন রায়ের কাছে  ।  পঞ্চাননের প্রয়োজন  নেই তেমন - কিন্তু মানুষের আয়োজন আছে  ।  দেশের  আইন মতে তিনি জমিদার নন  , কিন্তু এই অঞ্চলের বেশিরভাগ জমি জায়গার মালিক তিনিই । লোকে ভাগে কাজ করে তার কাছে , কিন্তু পঞ্চানন বাবু কারো কাছে গিয়ে ভাগের তাগাদা করেছে , একথা  কেউই বলতে পারবে না । 

 অনেকের মতেই  পঞ্চাননের বাড়ী  মূল জমিদার বাড়ী নয় - আগের আমলে ওটা ছিলো জমিদারের কোঠাবাড়ি - বাড়ীর মূল ভাগই আর  নেই -  পঞ্চানন বাবু  ছাড়া  বাকী সব কে কোথায় তলিয়ে গেছে বা উড়ে গেছে - তা কেউ জানার প্রয়োজন মনে করেন না ।

পঞ্চানন বাবুর  জমিদারী রক্ত ,  তার বাপ দাদাদের নামে গ্রামের বাঘ আর গরু এক ঘাটে জল খেতো  । বাড়ীতে একসময় নাকি সাহেবদের আনাগোনা লেগেই থাকতো ।  কিন্তু আজ সেই  জমিদারী নেই , কোথাও কোন চাকচিক্য তেমন কিছুই নেই  -  কিন্তু তাই বলে জমিদারী রক্তে  কুলাঙ্গার জন্মানো  অসম্ভব তো কিছু নয়    -  এলাকায় তার পরিচিতি প্যাঁচা নামে ।
" বাবা প্যাঁচা , তুমি বাড়ী আছো নাকি ? " - এই বলে বয়স্ক লোক তার অন্দরমহলে চলে আসেন । ছেলের বাড়ীর থেকে আজ আসবে মেয়ের বিয়ের পাকা কথা বলতে -  মেয়ের বাপের কথায়  পঞ্চানন বাবুকে থাকতেই হয়  অভিভাবক হিসাবে ।

চায়ের দোকানের চাল ঝড়ে ভেঙে পরলে এলাকার ছেলেরা বসে থাকে  , প্যাঁচা দা এসে কিছু ব্যাবস্থা করবে ।  প্যাঁচা দা  নিজে কাজ করেই খায় ।  দুপুরে না ঘুমিয়ে বটতলায় এসে সকলের সাথে তাস পেটায় , আবার গ্রামের ছেলেমেয়েদের নিয়ে একটা নাটকের দল চালায় - টাকা পয়সার  ব্যাপার নেই - আমদানী তো ছাড় , বরং মাঝে মাঝে উল্টে রপ্তানি হয়ে যায় ।
প্যাঁচা দার  হাত আর  মন- দুই উদার আর যুক্তি তীক্ষ্ণ । এই ধরনের লোকেরা উঠতি যুব শ্রেণীর কাছে খুব প্রিয় । আমাদের কাছেও তার বেতিক্রম নয়  । ঝামেলা বাধলো প্যাঁচা দার বাবা মারা যাওয়ার পর । শ্মশান থেকে ফিরলো সাধারন জামা কাপড়ে ।
আমরা অনেকেই জানতাম কারনটা  - কিন্তু যারা জানতেন না তারা বিষয়টা জেনে হতবাক । এসেছিলেন প্যাঁচাকে স্বান্তনা দিতে - " বাপ তো আর সারাজীবন থাকবেন না প্যাচা- এটাই সংসার , এটাই নিয়ম। "
প্যাঁচাদা সায় দিয়ে বলেন , সে তো বটেই - তাছাড়া থেকেই বা করবেন কি ?
সত্যি কাকাবাবু ,  " আপনাদের নিজের ভেবেই  বলতে পারছি  , আমার বাপ বটে , তবে লোক হিসাবে খুব ভালো ছিলেন না  - আপনারা চিন্তাশীল মানুষ , পাপ -পুণ্য বোধ আছে  । নিজের বাপ বলে বলছিনা , পাপ কাজ উনি যে পরিমানে করে রেখেছেন , তাতে ধর্মের নিয়মে নিশ্চিত  নরকেই যাবেন - আর ধর্ম কে আটকানোর আমি কে ? তাই বাপের শ্রাদ্ধ করে আর পয়সার শ্রাদ্ধটা আর করছি না । "
একটা  মানুষের বাপ মরে গেলো - নিজের ছেলে কিনা  বেমালুম বলে দিলো " বাপের শ্রাদ্ধ করে পয়সার শ্রাদ্ধ করতে পারবোনা " - অনেক অনেক দিন আগে  গ্হরাম্লেয জীবনে এমন হলে ,  কি হতো জানা নেই - কিন্তু ব্যাপার টা লোকের মুখের সামান্য আলোচনা হয়েই থেকে গেলো । আলোচনা আর সমালোচনায় গেলোনা । 
নানামুনির নানা মত - অনেকেই বললেন ,  " এটা সামাজিকতা নয় - সমাজের কিছু নিয়ম আছে , সেই নিয়ম কে অস্বীকার করা মানে আখেরে নিজেকেই অস্বীকার করা ।" 

আমরা প্যাঁচা দার কাছে দীক্ষা না নিয়েও দীক্ষিত  । আমরা জানি প্যাঁচা দা এই সমাজের হিসাবে সামাজিক নন , কিন্তু এই সমাজবিরোধী ভরা সমাজ তাকে খুব বেশী হলে অসামাজিক বলতে পারে  ।এই  সব যুক্তি তর্কের আসরে  চায়ের  দোকানীর ব্যাবসা ভালো চলে  -   কিন্তু অন্যের  পেট চলেনা ।
 ব্যাপারটা সময়ের সাথে  উড়ে গেলো ঝরা পাতার মতো । 
ইতিমধ্যে কয়েক বছর কেটে গেছে ।   বলা নেই কওয়া নেই -  চায়ের দোকানের শিবু এক  সকালে দোকান খুললো না - তিন চার দিন পরে যখন দোকান খুললো , তখন আগের সেই শিবু আর নেই  । মাত্র তিন চার দিনে তার বয়স বেড়েছে অনেক ।
চোখের কোলে কালি , মাথা চুল যেন পাট হয়ে গেছে , চাহনি উদাস , কথা প্রায় নেই মুখে । 
 একদিন  সকালে শিবু দাকে পাওয়া গেলো ঘুমন্ত অবস্থায় , প্যাঁচা দার বাড়ির পাশে । জানা গেলো পূর্ণিমার রাতে সে নিজের চোখে দেখেছে  বাইজির ঘোরাফেরা  ,  দেখেছে লেঠেলের দল  , -  তারা নাকি এসেছিলো  প্যাঁচা দার বাড়ির পরিত্যক্ত অংশে ।
শিবু দার মধ্যে বেশ পরিবর্তন আসছে - দিন দিন ম্লান হয়ে যাচ্ছে । আগের মতো আড্ডা মারেনা সকলের সাথে । শিবু দার দোকান যে কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম কিছু নয় -মহাকাশ থেকে ক্রিকেট , আর্থিক মন্দা থেকে আমেরিকার বিদেশ নীতি - এখানে সব বিষয়েই অমুল্য সব মতামত পাওয়া যায় বিনামুল্যে । আগে শিবু দাও মতামত দিতো । আজকাল দেয়না । চোখ বুজে থাকে । যেন ধ্যানস্থ মুণি ।  টাকা পয়সার হিসাব ঠিক্ ঠাক । বাকী সবের কিছুতেই তার আর আগের মতো আগ্রহ নেই । চোখ বুজলে সে আজকাল অনেক কিছুই দেখতে  পায় । স্কুলের মাস্টার  জানতে চায় ,  "  বাইজী না অপ্সরা  - কার নাচ দেখেছিলি  রে  শিবু ? " 
শিবুদা বিড়ির ধোঁয়া ছেড়ে বলে , " সবই  এক - মাটিতে নাচলে সে বাইজী আর স্বর্গে  নাচলে সে অপ্সরা " । 

একটা সময় ব্যাপারটা  আর কেবল্ মাত্র শিবুদা বা নাচের  ভিতরেই  থাকলো না  - রাতের বাতাসে এখন শব্দ ভাসে । কোন দিন নূপুরের বা কোন দিন তবলার , আবার কখনো বা কোন শিশুর কান্না । একটা সময় যা কেবল শুধু প্যাঁচা দার বাড়ীতেই সীমাবদ্ধ ছিলো , আস্তে আস্তে সেটা সারা গ্রামেই ছড়িয়ে পরে । 

গ্রামের এসব বিষয় তিল থেকে তাল হয়  । প্যাঁচা দা চায়ের দোকানে আসেন বিকালের দিকে । তার বাড়ী কে কেন্দ্র করে আলোচনার পিরামিড উঁচু হচ্ছে ,  আর তিনি  নীচু হচ্ছেন লোকের কাছে । আত্মসম্মান বোধ থাকলে তার  সম্মান হারানোর ভয় কম  । প্যাঁচা দার না আছে কিছু পাওয়ার আশা না আছে হারানোর হতাশা । 
আলোচনা  শুনে  মুচকি হাসে  । " ব্যাপারটা হয় ভূতুরে অথবা দেব দেবীর ব্যাপার , তবে আমি তো  নিজে না কিছু শুনলাম আর না কিছু দেখলাম -  বিনা পয়সায় এসব নাচ গানের আসর বসলে  তো ভালোই  " - হাতের বিড়ি বা সিগারেট যাই থাকুক , সেটা ফেলে হাঁটা দেন । 
সারাটা দিন একরকম - কিন্তু সন্ধ্যার পর অবস্থা আস্তে আস্তে বদলাতে শুরু করে ।  
এই ২০২০ সালে যারা সন্ধ্যা বেলায় হোম ডেলিভারীতে টিফিন খান , বা কথায় কথায় গুগোল ম্যাপ দেখে বাইক নিয়ে ঘুরতে বেড়িয়ে পরে - তাদের ধারনার সাথে এই কাহীনীর যোগ বিয়োগ করা খুব কঠিন । কারন গুগোল ম্যাপে এদেশের সব অনামী , অখ্যাত অঞ্চলের বিবরন যেমন নেই , তেমনি কোথায় কোন গ্রামে কোন হাসপাতাল নেই  , কোথায় এখনো মানুষ লোকের জমিতে বেগার খাটে - সেই সব নিয়ে টিভিতে সন্ধ্যা বেলায় সামনে জলের গ্লাস নিয়ে সবজান্তা লোকেরা  আলোচনা করেন না  বা খবরের কাগজে  কিছুই আলাদা করে লেখাও হয়না । 

 গত কয়েকবছর আগে  খুন হয়েছিলো দিনু ঘোস ।  অনেকে বলে সুরেন কামারের সাথে ঝামেলা করার পুরস্কার ।  দিনু  ছিলো নিরেট  চাষা । সুরেন  কামার  পদবীতে কামার । তবে তার চোদ্দ পুরুষে কেউ লোহা পিটিয়েছে কিনা , কেউ জানেনা । জাত ব্যাবসা বলতে সুদে টাকা দিয়ে টাকা কামানো  । বাপ দাদাদের মতোই   টাকা  তাকে কামাতেই হয় । কিছু কামাতে গেলে কিছু কমাতে হয় ।   বাজারে ধানকল আর আড়তের ব্যাবসার আয়তন বাড়ছে  ভুড়ির সাথে পাল্লা দিয়ে । পারলে টাকার গায়ে তেল মাখিয়ে রাখে , যাতে সে বস্তু উড়ে না যায় , বরং তার আনাগোনা যেন মসৃণ  হয় । দিনুর সাথে তার ঝামেলা নতুন কিছুই নয় , কিন্তু এবারের ঝামেলা মিটলো দিনুর লাশের উপর দিয়ে । কে বা কারা এসে রাতের বেলায় পুকুরের ধারে দিনুর লাশ ফেলে  দিলো । সারা শরীরে ধারালো অস্ত্রের কোপ । কেউই  এই খুনের কিছু বুঝলো না  ,  তারা  দিনুর লাশ ছাড়া কিছুই দেখলো না , তার বউ এর কান্না  কেউ কিছু শুনলো না  ,  দিনুর বাচ্চাদের দেখে কারো কোন চিন্তা এলোনা ।  গ্রামের নেতা এসে  তেমন কোন ভরসাও দিলোনা । 
পরিবারের লোক  ছাড়া বেশিরভাগই দিনুকে ভুলতে শুরু করেছে । 

সুরেন কামারের ব্যাবসা বাড়ছে । কামার থেকে কুমরো হয়েছে ।  ব্যাবসা শুধু চলছে না , বরং কুমড়োর মতো গড়াচ্ছে ।  
আজকাল   সকালে মন দিয়ে পূজা করে ঠাকুরকে সাক্ষী করে ম্যানেজারকে দোকানের ভার দিয়েই নিজে চলে যান   পার্টি অফিসে । অকাজ - কুকাজ কিছু  নয় , কিন্তু কাজ যে কি সেটা স্পস্ট নয়  । দেশের আর দশের কথা শুনতে হয় ।  সুরেন কামার এখন সুরেন বাবু হয়েছে । আর  বাবুর ব্যাপারে বাবাদের নজর বেশী  ।
 প্রতিদিন একটা কলেজে পড়া ছোকরা তাকে একটা খাতায় সারাদিনের কথার  ভিতর থেকে বেছে বেছে কঠিন কঠিন শব্দগুলো লিখে দেয় , সেটা নিয়ে বাড়ি ফিরেই দোকান যাও । ক্যাশ মেলানো আর উপরওয়ালাকে তার উপর একটু নজর দিতে বলা । বাড়ী ফিরে   রাত নটার পরে শুরু হয় সমাজসেবা ।  সেই ছেলে আবার আসবে , খাতা দেখে শব্দ বলবে আর তার সাথে সাথে সুরেন কামারকেও ঠিক ঠাক ভাবে বলতে হবে -  নির্বাচন  , গনতন্ত্র , বাক স্বাধীনতা । প্রথম দিকে বেশ আটকে যেত ।  নির্বাচন হয়ে  যেত নিবারন , আর বাক স্বাধীনতা হতো বাক -সা -  ধিনতা । তবে উচ্চারন  এখন অনেক শুধরেছে । 
এদিকে সুরেন কামার  যেমন শুধরেছে , তেমনি সুরেনের কানে সাইরেনের মতো সুর লেগেছে । কারবার চলছে তেলের মতো আর টাকা বাড়ছে জলের মতো । কিন্তু সুরেন কামারের চেহারায় যেন কামার বাড়ীর হাপরের ছাপ লেগেছে । একি সুখ না অসুখ ? আগে রাতে শুলেই একঘুমে ভোর । এখন মাঝে মাঝেই ঘুম ভেঙ্গে যায় । নিজের কানে শুনলেন ধান ভাঙ্গানো মেশিনের শব্দ । চোখ মেলতেই সব পরিস্কার - দিনের ধানকলে নয়, তিনি আছেন রাতের বিছানায় । তার চোদ্দ পুরুষের কেউ স্বপ্ন দেখেছেন , বলে শোনা যায়নি । বাপ -দাদারা লোকের ঘুম ছুটিয়েছেন , কিন্তু নিজেরা ঘুমাননি  - এমন কথা তার বংশের ইতিহাসে লেখা নেই । 

দিন যায় দিনের মতো , কিন্তু রাত সবসময় রাতের মতো যায়না । একরাতে সারা গ্রাম যেন অচেনা  হয়ে গেলো ।  অনেকদিন আগের সব কণ্ঠস্বর শোনা গেলো   ।  চাষা , কামার , জমিদারের লেঠেল , পোস্ট অফিসের পিয়ন , বাইজির মেয়ে - এই সব মানুষেরা এতোদিন কোথায় ছিলো - কেউ জানেনা  । আজ ফিরে এসেছে , তারা বিস্তৃত চাষের মাঠে ভিড় জমিয়েছে , তাদের হাসি কান্নায় গ্রাম মুখর হয়ে উঠেছে , সব কিছু উপেক্ষ্যা করেই আজ তারা ফিরে এসেছে নিজের কাছে । বলদের পাল চলেছে মাঠের দিকে ,  রাখালের চিৎকার , মাঠের ডামাডোল - পরিস্কার শোনা যায় ।  এরা সব কোথায় ছিলো ? আজ কেন এসেছে আবার ?  সুরেন কামার ঘামছে , ঘামে স্নান করছে , বুক ভার হয়ে আসে ।  বিছানায় শুয়ে পরিস্কার শুনছে দীনুর গলা । দিনু হাসছে , এ দীনুর রাগ নেই , যন্ত্রণা নেই , অভিযোগ নেই । এই দীনুর সাথে সে লেখাপড়া করেছে , খেলা করেছে , নদীতে স্নান করেছে - দীনু  তাকে ডাকছে।  দীনু তাকেই ডাকছে - তাকে ডাকছে ছোটবেলার স্কুলে পুরতে যেতে , আমবাগানে খেলতে যেতে , নদীতে নাকি মাছের ঝাঁক এসেছে । সেই মাছ ধরতে যেতে দীনু তাকেই ডাকছে ------  আর বিশেষ কিছু মনে নেই সুরেন কামারের । 

কিন্তু আমরা যারা নিজেদের প্যাঁচা দার ভক্ত মনে করতাম , তাদের মধ্যে একজন অন্যতম চায়ের দোকানের শিবুদা - আমাদের সকলের একটা ঘটনা পরিস্কার মনে আছে , যে রাতে সুরেন কামার মরলো , পরের দিন তার মৃতদেহটা চিতায় তুলে দেওয়ার পর আমাদের প্যাঁচাদা একটা কথাই বলেছিলো , " সকলে মিলে হরবোলা প্র্যাকটিস করার ফল কিন্তু এবার পুড়ে ছাই হয়ে যাবে " । 

THANKS. 
S.V.O





















Post a Comment

0 Comments