অস্তিত্বে অনন্যা -১


DESTINY IS NEVERLAND AND NEVERLAND IS DESTINY.
PEN-PROLAY.
INK-ANANYA. 
PIC-BAPI KUNDU.






আমাদের চলে যাওয়া দিন অথবা কতো সে  অজানা রাত,
আমাদের কতোই  সে না বলা মনের গোপন কথা,
অথবা  কুমারী সেই নদীর  বুকে ভেসে ওঠা নিদারুন   ব্যাথা,
নিজেদের খুঁজে পাওয়ার আনন্দ বা বিয়োগের খেলা -
সেই সব সময় -   কি কোনদিনও    মিথ্যা হবে  ?
নাকি পাথরের বুকে জন্মানো - শ্যাওলারও  রুপে তারা রবে ?
যে নিয়মে দিনের নিভে যাওয়া আলোতে -
শুরু হয় লজ্জিতা  কুমারী চাঁদের গান,
অমোঘতার সেই গানেই -   বাজতেই পারে , 
আমাদেরই  সুর অথবা  সেই আমাদেরই প্রান ।
প্রানহীন শরীর যদিও বা  হয়ে যায় পচন ধরা মাংসের দলা,
তবুও তো মিথ্যা নয় - অতি  যত্নে  বা   অতি সংগোপনেও নিয়ত নিয়তির  কথা বলা।
দুপুরের রোদ মেখে - শরীর ভেজানো ঘাম নিয়ে,
জনজীবনের কোলাহল সরিয়ে   - পাশবিকতার সংগ এড়িয়ে,
কতো সে ছোট ছোট গলি - ঘিরে থাকা কতো সে অজানা গাছের সারি !
ওদেরই তো  সংগী করে আমরাই তো  হেটেছি,
জগতের চিরন্তন  চিন্তাবিহীন পুরুষ আর নারী।
রোদের চড়া তেজ কিছুতেই  পড়বে না -
আমাদের মুখ যাবে মরে ,  কিন্তু বুক যাবে না পুড়ে,
আমাদের বলা কথা - না হয়  কোনদিন না হোক গল্পগাথা,
তবুও সে রয়ে যাবে কোনও এক কুমারী  নদীর তীরে।
আমাদের চলার পথে থাকুক ভিজে মাটি,
গোড়ালি তে লেগে থাকুক গাছের ঝরে যাওয়া পাতার -
মড়ে যাওয়া গন্ধ। 
আমাদের ছাতাহীন মাথা - দিকভ্রান্ত দৃস্টি,
নতুন চোখে, নতুন করে খোঁজা -নতুন কোন সৃস্টি।
কতোটুকুই বা আমাদের চাওয়া আর তার থেকে কতো কমই
না  আমাদের  পাওয়া ?
তারও  না আছে কিছু ভালো, আবার নাই আছে বা  কিছু মন্দ,
তবুও রাত শেষেও  দিন আসে - থেকে যায় দ্বন্ধ।

নগরের নাগরিকতার বোধ হারিয়ে যায়,
তার সদা জাগ্রত দৃস্টি চলে আসে,
জীবনের,  মননের আর মরনের আণুবীক্ষণিক কোনে, 
আর আমরা ?   
 চলেছি জৈবিক ইন্দ্রীয়ের টানে।
অজগ্রামের ফসলের  মাঠের আল ধরে,
অথবা নীরবতা  মাখা গঞ্জের পথ ধরে,
আমরা করেছি গান,  দেখেছি স্বপ্ন আর বলেছি কতো শত
হারিয়ে যাওয়া গল্প,
আমাদের স্বপ্ন,  আমাদের আশা,  নিয়মেই  সকলি  নিয়মিত ছিলো অল্প।
জমির সীমানার মালিকানা লেখা আলপথ,
অথবা রোদ মেখে বয়ে যাওয়া কোন বটের হাওয়া,
সবই থেকে যায় তেমনি।
অবয়ব বদলায় - কিন্তু বদলায় কি প্রানের কথা কওয়া ?
শরীরের স্পর্শ,  মননের গান অথবা স্বপ্নের টান....
আমাদের  চেতনায় থেকে যায় আমাদেরই  ঘ্রাণ।
প্রানের গভীরে বয়ে চলা সুর -গেছে কি সব থেমে?
মনের গভীরে  জমানো কথা - সবকিছু কি গেছে  কমে?
ফসলহীন মাঠের কোণে কোণে কি আসেনা আর
নতুন শৈশব মাখা সবুজের কিছু  চারা ?
কেবল আমরা ছাড়া আর কি কারোও  নেই !  
 কোনোও দিন শেষে নিজের কাছে নিজের ফেরার তাড়া? 
কোনও ভয় আর মনে আসেনা,
আসেনা আর কিছু পাওয়া বা হারানোর চিন্তা,
মায়াবী ফসলের আলপথ ধরে,
অথবা  ছায়াঘেরা গলিতে,  হেটেছি হাতে রেখে হাত,
জীবন,  মরন বা বিচ্ছেদ - সবকিছুই মিলেমিশে -
সাগরের সংখ্যা তো  সেই সাত।

সেই কোনও একদিনে , হয়তো বা আমায় হতে হলো  শেষ
কালের নিয়মে,
 আর তোমার মাংসের ভাগ পড়েছিলো লুটেরার দলে,
কিন্তু তারপরও কি আর  হাসিনি ?  তবুও  হারিয়ে কি  যাইনি আমরা  আর -----
একসাথে অজানা অচেনা ফুলেদের দলে  ?
তারপরেও কি আর কখনো একসাথে আর কিছু ভাবিনি ?   ? 
চেনা মুখ অচেনার  আড়ালে -  মন ভরে আর কি দেখিনি  ? 

তারপর হয়তো বা কোন এক মহামারীতে তুমিও চলে গেছিলে! 
 বিষাদেও আমিও কি দিইনি অগ্নি স্পর্শ তোমায় সেদিন?
 শোকাতুরা কুমারী নদীর কূলে !
 তবুও কি ভুলে গেছি সব?
মাঠ,  ঘাট, খাল আর  জমির আল বেয়ে,
ছুটে কি বেড়াইনি আর একসাথে  ?
চাঁদের  আলোয় স্বপ্নের পথ বেয়ে ,    ,
কিছুকাল থাকতে হবে এবার  নিজের নিজেকে ভুলে -
ছুটে চলার অনন্ত পথ - আমাদের ঘিরে আছে সীমাহীনতার রেখা, 
বৃষ্টির ফোটা হয়ে পড়তে হবে রাত শেষের ভোরে -

সবুজ ঘাসের উপর শিশিরের সাতরঙা রংধনুতে,

হতেও  পারে আমাদের আবার  দেখা।
কোন এক প্রলয়ংকর ঝড় নিশ্চয়ই আসবে,
যুবতী নদীর বুকে নেমে আসবেই  এক বন্যা -
সৃস্টির অজানা পথেই হয়তো আবারো আসবে  -
সেই  সে  নারী  এক অনন্যা ।
এই সময় হতে বহুকাল  পরেও,
হতে পারে আমাদের চেনা প্রান্তর থেকে অন্য এক প্রান্তরে,
সীমানা থেকে বহুদূরে,
আবারো কোন যুবক আর যুবতী,
তারা তো হাটবেই নিজদের পথে, নিজেদের হাত ধরে।
মেঠোপথ অথবা কাদা মাখা গলি -
লুকিয়ে থাকা কোন গঞ্জের রাস্তা,
হয়তো বা উঠবে ভরে প্রেমিক আর প্রেমিকাতে,
হয়তো বা দেখা হবে আবার  কোন জটিল  চাহনির খেলায়, 
হতেও পারে - মিলিয়েও  যাবে  আবার বিচ্ছেদের মেলায় -
তবু জেনে সুখী থেকো - এই নয় শেষ,
আমাদের সকল না বলা কথাগুলো -অন্যেরা বলবে, 
মুছে তো যাবেনা কখনোই  - এই আমাদের  অস্তিত্বের রেশ।


THANKS. 
S.V.O






Post a Comment

2 Comments

https://www.youtube.com/watch?v=fmK-HSX8s24