DESTINY IS NEVERLAND AND NEVERLAND IS DESTINY.
PEN- PROLAY.
INK-ANANYA.
CON= +91-9732803838
আজকের ঠিক এই অন্ধ স্তব্ধ সময়কাল হতে ,
দূর থেকে দূরান্তে - সে পিয়াসী সুদূর ,
অথচ এতোটাও তো দূর নয় ,
যাকে একেবারে বলা যায় যে প্রান্ত কিছুর -----
এমনই কোন এক নিভৃত নিশ্চিন্ত রাতে ,
চরাচর যখন নিশ্চিন্তে নিদ্রাচ্ছন্য ,
আকাশের নরম গোলাকার চাঁদের মুখ থেকে ঝরে পড়া আলোর কণাগুলোকে গায়ে মেখে ,
আমরা পৌঁছে গেছিলাম ,
কোন এক নির্জন নিশ্চিন্ত কুটীর দ্বারে ।
ছবি নয় , নৈকট্য নয় - কোন মানবিক কিছুও নয় ,
চেনা ছাঁদের অবয়ব নয়- অপরিচিত তো নয় ,
পঞ্চ ইন্দ্রীয়ের নাগালে যা যা আসে ,
শব্দ ছাড়া সকল ছিলো বেকার।
"কি করছেন ? "- ঠোঁট ছুঁয়ে আসা মাত্র দুটি শব্দ,
কানের দরজা থেকে মনের গহনতম কোনে গেছিলো,
সেদিন আলোর চেয়েও দ্রুত বেগে ,
হয়তো বা পুরোটাই - ক্ষণিকের আবেগে ।
তবুও তো আমরা কিছু বলেছিলাম -আর আমরা কিছু শুনেওছিলাম ,
হয়তো তেমনি কিছু ,
যা আমরা চেয়েছিলাম হয়তো বলতে বা শুনতে ,
নিজেদের অচেতন অন্তরে ,
কিন্তু জোটেনি স্থান , জোটেনি কাল,
এমনকি জোটেনি কোন মেঠো পথ,
ধু ধু করা দীগন্তেরও কোনো প্রান্তরে ।
শব্দকে মনের ছাঁচে ফেলে --
যত ছিলো আমাদের সকল আদান প্রদান,
সে সকল কথাতে তো , আজও জোটেনি কোন সুর,
তারা তো হতে পারেনি , আজও কারো কোনও গান।
তবুও আমরা তো বলেছিলাম , শুনেছিলাম অল্প করে ,
ঠিক যেন স্বপ্নের মতো ,
যেভাবে সৈকতে শিল্পীরা , বালির প্রাসাদ গড়ে ।
আজ আবার এই শ্রান্ত ক্লান্ত নিশীথে ,
অনু পরমানুর মতো টুকরো হয়ে যাওয়া -সেই শব্দের কণারা জুড়ে যায়,
বুকের ভিতর শুরু হয় ফেলে আসা অণূরণন।
কানে কানে কারা যেন বলে ,
সেই সব শেষ না হয়ে যাওয়া গল্প ,
হয়তো বা সময়ের বিচারে যাদের আয়ু ছিলো অল্প।
আজও রাতের আকাশে চাঁদ আসে ---
নদীর মড়ে যাওয়া ঘাট , ছোট কোনো গলি পথ , সীমাহীন প্রান্তর ---
সব কিছুকে ছুঁয়ে দিয়ে পূর্ণিমার নরম আলো আমার কানে চুমু খেয়ে বলে,
" "তোমাদের বলা বা না বলা কথা গুলো শুনেছি আমরাও ,
কিন্তু রেখেছি তাদের গোপন,
চাইলেই ফেরত নিও -যদি চায় মন"।
আমার সকল অস্তিত্ব কেঁপে ওঠে ,
নিষ্ঠুর , নির্মম , একাকীত্বের হাহাকারে ,
মনে হয় ছুটে যাই , পালিয়ে যাই , ভেসে যাই ,
আমার ভিতর লুকিয়ে থাকা -তোমার অস্তিত্বকে সঙ্গী করে ।
অসীম ,অবাধ, আর অচেতন কোন পারাবারে ............
অনু পরমানুর চাইতেও ছোট- টুকরো টুকরো ,
চাঁদের আলোর কণারা বোলে ওঠে ,
"আমরা আছি - এসেছি তার গোলাপি ঠোঁট স্পর্শ করে,
এসেছি তার তৃষ্ণার্ত জিহ্বার সকল তৃষ্ণা নিয়ে- আমাদের সারা গায়ে লেগে আছে তোমাদের সেইসব অতীতের বন্যা,
তোমাকে তোমার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে,
আলো, জল আর বাতাসকে সংগী করে ,
যেতে হবে দূর কোন প্রান্তরে ,
যেখানে প্রতি কোনে আছে সেই অনন্যা।
ওরা বলে আর আমি শুনি ---
এমনটাও নয় , যে শুধুই শুনি ,
শুনি আর মনে মনে দিন গুনি ,
এমন একটা ঝড়ের দিন আমার চাইই্.....................।
যদি সেই মেঠো পথ ধরে আমি আরো একবারও যাই ।
"তুমি যে আছো "- সেকথা তো আমি জানি ,
শুধুই যে জানি তাও নয় ,
আমার অচেতন থেকে সচেতন ......
সবেতেই তো আমি , তা মানি।
তাই আবারো একটা দিন চাই -
হোক না সে বৈশাখের পুড়িয়ে দেওয়া কোনো দুপুর ,
অথবা শরতের ছন্দে বেজে ওঠা নূপুর।
শ্রান্ত, ক্লান্ত , রক্তাক্ত পায়েও যদি ,
যেতে পারি আমি সে সীমাহীন প্রান্তরে ,
যেখানে গোধুলির নামে সূর্য নেমে আসে ...
আকাশ ছুঁয়ে থাকা সবুজের হাত ধরে,
যেখানে ভুলেও জ্বলেনা কখনো সন্ধ্যাপ্রদীপ,
যেখানে নেই আর কোন নাম ...............
সন্ধ্যায় নদীর কালো জল ছুঁয়ে দিয়ে যায় তোমার পায়ের নরম আঙ্গুল,
যেখানে গোলাপ বা পলাশের চেয়েও আরো বেশী সুন্দর,
অসীম দূরন্ত হাওয়ায় তোমার উড়তে থাকা চুল ,
যেখানে বাতাস তোমায় জানিয়ে দেবে ,
কাঙ্খিত দূরন্ত সে আগমনের কথা ,
নিশ্চিত আমি - আরো এক বা দুই বার নয় , বরং বারবার ,
তোমার স্পর্শে কেটে যাবে নীরবতা ভরা ব্যাথা।
বেহাগের টানে কেঁদে ওঠা যুবতী চাঁদ্,
আকাশের সকল গ্রহ বা তারা ,
সবের সামনে দুহাতে জড়িয়ে ধরে চিৎকার করে বলতে পারবো,
"এখনো তো তোমাতেই সীমিত আমি -
বিদায় জীবন -বিদায় মরণ -বিদায় অনন্যা -
বিদায় জাগতিক হাসি কান্না "।
THANKS.
S.V.O
1 Comments